বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও মীরা ভট্টাচার্য
অজানা কারণেই তাঁর ছোটবোন ইরা বসু ফুটপাতে বসবাস করছেন। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে সাফ জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইরার এমত ব্যবহারে পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে।
মীরার বক্তব্য, ইরা চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। তিনি স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন।
গত দু’বছর ধরে ডানলপের কাছে ফুটপাতের উপর থাকেন ইরা। সেখানে একটি ছোট ঘরও বানিয়েছেন একদা খড়দহ প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা। তাঁর শিক্ষকতার কথাও মীরার বিবৃতিতে রয়েছে।
ঘাড় পর্যন্ত ছাঁটা উসকোখুসকো চুল। পরনে মলিন নাইটি। আপাতত তিনি লুম্বিনী পার্কে চিকিৎসাধীন।
ইরার এমন দিনযাপনের খবর প্রকাশের পর নেটমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। আলোড়ন পড়ে রাজ্য জুড়ে। কারণ ইরা সম্পর্কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবের শ্যালিকা। ভট্টাচার্য পরিবার সূত্রের খবর, সেই আলোচনার জন্যই মীরা বিবৃতি জারি করে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
মীরা তাঁর বিবৃতির একেবারে শেষ লাইনে লিখেছেন, ‘ইরা আমার নিজের ছোট বোন।’ তার আগে তিনি লিখেছেন, ‘ইরা স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন। তিনি অতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ও শিক্ষিতা। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলে। ওঁর নিজস্ব বাড়ি আছে। ঠিকানা বিবি ৮৪ সল্টলেক, কলকাতা। ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন।’
মীরার বক্তব্য, কোনও ‘অজানা কারণে’ ফুটপাতে বসবাস করছেন ইরা। তাঁর মতে, ‘প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও মানুষের এই অধিকার আছে।’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘পরিবারের কারও কথা কোনও দিন শোনেননি ইরা। নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করেছেন। এই আচরণের জন্য উনি পরিবারের সকলকে অসম্মানিত করছেন।’
ইরার খবর নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই বরাহনগর থানায় খবর যায়। পুলিশ তাঁকে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy