মৌমিতা বিশ্বাস। —নিজস্ব চিত্র।
কল্যাণীর রাস্তায় তরুণী খুনের পর পেরিয়ে গিয়েছে আস্ত একটা দিন, কিন্তু মৌমিতা বিশ্বাস (২২) খুনের কুয়াশা কাটেনি।
এ ব্যাপারে সন্দেহের তালিকায় থাকা জনা তিনেক যুবককে নাগাড়ে জেরা করেও খুনের কিনারা করতে পারেনি জেলা পুলিশরে গোয়েন্দারা।
শুক্রবার রাতে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৌমিতার স্বামী এবং অন্য এক যুবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে— এ ছাড়া বাড়তি কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ।
তবে, কল্যাণীর একটি বেসরকারি কলেজের আইনের ওই ছাত্রী যে বাড়ির লোকের কাছে অনেক তথ্যই লুকিয়ে ছিলেন তা জানা গিয়েছে।
তার মোবাইল ফোনের কল লিস্ট এবং হোয়াটস অ্যাপ-এ পাঠানো ছবির তালিকা থেকেও মেয়েটির বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের আঁচ মিলেছে বলে জেলা পুলিশেরই এক অফিসার জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে, কল্যাণী জিআইএস মোড়ের জলপ্রকল্পের কাছে এক্সপ্রেসওয়ের ধারে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল মৌমিতাকে। স্থানীয় একটি বিএড কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা গুলির শব্দ শুনে পুলিশে খবর দিলে উদ্ধার হয় দেহটি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় এবং বুকের বাঁ দিকে খুব কাছ থেকে পর পর দু’টি গুলি করা হয়েছিল।মৌমিতার বাড়ি খড়দহের মিলননগরে। বাবা বিমান বিশ্বাস খড়দহ থানার কনস্টেবল। গত বছরই মৌমিতার বিয়ে হয়েছিল টিটাগড়ের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তবে, বিয়ের সাত মাসের মধ্যেই ভেঙে গিয়েছিল সম্পর্ক।
শুক্রবার বেলা এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা জানান, সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ ফোনে মেয়ে তাঁকে জানান, ‘ফিরছি।’ রাতে আর ফেরেননি। এ দিন সকালে নদিয়া পুলিশ সুপার শিষরাম ঝাঝারিয়া ঘটনাস্থলে আসেন। বিমানবাবু তাঁর কাছেই খুনের অভিযোগ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy