Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
হলদিয়ার চিঠি

ফেরিঘাটে স্থায়ী ভাসমান জেটি জরুরি

হলদিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির অন্যতম সমস্যা হল ওই রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। অথচ সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই। ধরা যাক এইচপিএল লিংক্ রোড বা মঞ্জুশ্রী থেকে দুর্গাচক যাওয়ার রাস্তার কথা। অথবা ব্রজলালচক থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক— শিল্পশহর হলদিয়ায় এই রাস্তাগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বহু যানবাহন চলে।

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৩
Share: Save:

রাস্তার দু’পাশের গাড়ি বাড়াচ্ছে যানজট


এইচপিএল লিংক রো়ডে রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং।

হলদিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির অন্যতম সমস্যা হল ওই রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। অথচ সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই। ধরা যাক এইচপিএল লিংক্ রোড বা মঞ্জুশ্রী থেকে দুর্গাচক যাওয়ার রাস্তার কথা। অথবা ব্রজলালচক থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক— শিল্পশহর হলদিয়ায় এই রাস্তাগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বহু যানবাহন চলে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে থাকে পণ্যবাহী ও অন্যান্য গাড়ি। এইচপিএল লিংক্ রোডের ধার দিয়ে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গ্যাসের ট্যাঙ্কার দাঁড়িয়ে থাকে। মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে দুর্গাচক পর্যন্ত রাস্তার দু’দিক দখল করে প্রচুর ছোট গাড়ি দিনভর দাঁড়িয়ে থাকে। ব্রজলালচক থেকে সিটি সেন্টার মোড় পর্যন্ত ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ওই সব এলাকায় দ্রুতগতির গাড়ি গুলি চলাচল করে বিপজ্জনক ভাবে। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনাও ঘটে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।

স্বপনকুমার অধিকারী (চিরঞ্জীবপুর), আইনজীবী

দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসুক সব পক্ষ


জমে রয়েছে আবর্জনা।

হলদিয়ার সব থেকে বড় সমস্যা পরিবেশ দূষণ। বাতাসে কার্বন মিশছে প্রতিদিন। তা ছাড়াও হলদিয়ার এইচপিএল লিংক রোড-সহ কিছু এলাকায় ঝাঁঝালো গন্ধ ঘুরতে থাকে সব সময়। ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করাই যায় না, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় খালি চোখে রাস্তায় বেরনো যায় না। দূষণের ফলে হলদিয়াতে নানা রকম রোগ দেখা দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের সর্দি কাশি, অ্যালার্জির মত রোগ বাড়ছে। বড়দেরও নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। শুধু সরকার নয়, কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, হলদিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। দূষণ যাতে কম ছড়ায় সে বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে যেমন নজর দিতে হবে, তেমনি হলদিয়াতে আরও বেশি পরিমাণ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

রুমা সামন্ত (দুর্গাপুর), গৃহবধূ।

রাত হলেই উধাও বাস

শিল্পশহর হলদিয়া প্রতিদিন আধুনিক হচ্ছে। বাড়ছে মানুষ, যানবাহনের ভিড় ক্রমশ গ্রাস করছে রাস্তা। অথচ সে সবই রাত ৮টা পর্যন্ত। তারপরই সব শুনশান। হঠাৎই যেন ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় ব্যস্ত শহর। তখন খুব প্রয়োজন হলেও শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার মতো কোনও যানবাহন পাওয়া যায় না। রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮ টার মধ্যে হলদিয়ার রাস্তা থেকে সব বাস উধাও হয়ে যায়। এমনকী জেলা সদর তমলুক বা মেচেদা স্টেশনগামী বাসও হলদিয়া থেকে আর পাওয়া যায় না রাত সাড়ে ৮ টার পরে। সমস্যায় পড়েন আমজনতা। সবথেকে বেশি অসুবিধা ব্যবসায়ী বা শিল্পসংস্থার কর্মীদের। তাই হলদিয়াতে রাতের দিকে বাসের ব্যবস্থা করা দরকার। এই বিষয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সুকোমল মাইতি (হলদিয়া টাউনশিপ), আইটি কর্মী।

ভাসমান জেটি ছাড়া নৌকোয় ওঠা দায়


নৌকোয় উঠতে ভরসা এই পাটাতনই।

হলদিয়া নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি ফেরি সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই ফেরিঘাট ব্যবহার করেন। কিন্তু সমস্যার শেষ নেই। নন্দীগ্রামের দিকে ভাসমান জেটি থাকলেও হলদিয়া টাউনশিপের তা নেই। ফলে যাত্রীদের নৌকায় উঠতে সমস্যা হয়। বিশেষত ভাটার সময়। জল কমে যাওয়ায় নৌকাতে উঠতে মহিলারা সমস্যায় পড়েন। আবার সাইকেল, মোটরবাইক বা অন্যান্য মালপত্র নৌকায় তুলতে নাজেহাল বতে হয় যাত্রীদের। তাই নন্দীগ্রামের দিকের মত হলদিয়ার দিকে একটি ভাসমান জেটি হলে হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের খুবই উপকার হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।

সামিনা আখতার (হলদিয়া), নার্স।

উড়ালপুল চাই

রানিচকে একটি উড়ালপুল আশু প্রয়োজন। রানিচক মোড় থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হলদিয়া বন্দর। ফলে রেলওয়ে লেভেলক্রসিং পার হয়ে হলদিয়া বন্দরে বহু পণ্যবাহী গাড়ি যাতয়াত করে। তা ছাড়া টাউনশিপ বা আইওসিতেও প্রচুর যানবাহন যায় এই রেলওয়ে লেভেলক্রসিং পার হয়েই। ক্রমাগত ট্রেন চলাচল করার ফলে হামেশাই যানজট তৈরি হয়ে যায়। অনেক সময়ই আটকে পড়ে দমকল বা অ্যাম্বুল্যান্সের মতো জরুরি পরিষেবার গাড়িও। এই যানজটের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই রানিচকে রেলওয়ে উড়ালপুল তৈরি করা খুব দরকার। রেল ও রাজ্য সরকার এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে এলাকাবাসীর উপকার।

বুদ্ধদেব মাইতি (ভবানীপুর), ব্যবসায়ী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy