— নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল আবার। পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশপুরের চড়কা গ্রামে বুধবারের ঘটনা। বোমাবাজিতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে গিয়েছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই ঘটনায় সিপিএম জড়িত বলে অভিযোগ তৃণমূলের। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধবার সকালে চড়কা গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে চলে বোমাবাজিও। বোমার আঘাতে ডান হাতের কিছুটা অংশ উড়ে যায় শেখ রফিকুল আলি (৩৫) নামে এক তৃণমূল কর্মীর। তাঁকে প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রফিকুলকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আপাতত পরিস্থিতি আয়ত্তে এসেছে। তবে চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা অভিযোগ করেছেন, ‘‘আজ দুপুর ১টায় কেশপুর বাজারে মহামিছিল হওয়ার কথা। তার আগে সিপিএম এলাকায় উত্তেজনা তৈরির জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সমর্থন করি না। কঠোর ভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। পুলিশকে বলা হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার।” তিনি আরও বলেন, “সিপিএম এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। কী ভাবে আহত হল তা ডাক্তার এবং পুলিশ বলতে পারবে। বোমা ছুড়তে গিয়ে আহত না কি ওঁর উপর বোমা ছোড়া হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। হিংসাত্মক ঘটনা সমর্থন করি না।’’
শিউলির অভিযোগ নিয়ে সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ওদের নেতারা ঘোষণা করছে সিপিএম নেই। আর এখন সিপিএম এর ভূত দেখছে! যত দিন যাবে সিপিএমের ভূত দেখতে আরম্ভ করবে।’’
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের দিকেই। তাঁর কথায়, ‘‘তোলাবাজি এবং এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই গন্ডগোল। যাঁরা এত দন ধরে এখানে তৃণমূল করতেন তাঁদের কোনও দায়িত্ব নেই। যাঁরা তোলা বেশি তুলে দিতে পারবেন তাঁরাই এখন নেতা। এতে বিজেপি জড়িত নয়। বিজেপি বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করে না।’’ এই ঘটনার নিন্দা করেছে বিজেপি।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রাম। সংঘর্ষে জখম হন ২ জন। সেখানেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy