প্রতীকী ছবি।
রেলশহরে প্রভাব বাড়ছে গেরুয়ার। ইঙ্গিত দিয়েছিল গত লোকসভা ভোট। বিধানসভা নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে যায়, খড়্গপুরে মাটি শক্ত করেছে বিজেপি। শহরের শহরের বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমন রাজনৈতিক পটভূমিতে পদ্মের বদলে ঘাসফুল ফোটানো যে কঠিন তা বিলক্ষ্মণ জানেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বার লোকসভা নির্বাচনে তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিক্ষুব্ধদের উপর নির্ভর করেই বিজেপি ঠেকানোর রণকৌশল নিল তৃণমূল!
খড়্গপুর শহরের সদর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ভোটকে গুছিয়ে নিজেদের ঘরে আনার পরিকল্পনা করেছে শাসক দল। অবশ্য শুধু পরিকল্পনাতেই আটকে নেই। শহরে একেবারে তিনটি বিশেষ কমিটি গড়ে সেই লক্ষ্যে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুর শহরের ঝাপেটাপুরে বৈঠকে বসে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, যুব তৃণমূল সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি, প্রার্থী মানস ভুঁইয়া প্রমুখ। ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল শহরের সমস্ত নেতৃত্ব, কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিদের। মূলত শহরে কীভাবে বিজেপিকে রুখে এগিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনাতেই এই বিশেষ কমিটি গড়ে লোকসভা নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল। অজিত বলেন, “যদি দিলীপ ঘোষ বিজেপি প্রার্থী হন, তবে খড়্গপুর শহরে বিজেপির একটি অংশ তাঁকে ভোট দেবে না। বামেরাও ভাঙছে। শহরে কংগ্রেসের যেটুকু কর্মী রয়েছে তাঁরা আমাদের ভোট দেবে। সেই ভোটগুলিকে গুছিয়ে আমাদের পক্ষে আনতে তিনটি পৃথক বিশেষ কমিটি গড়েছি।”
তৃণমূল যে দল ভাঙাবে বলছে? বিজেপির জেলা সবাপতি শমিত দাশের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দল ভাঙবেই না, উল্টে ওদের (তৃণমূল) থেকে এখানে যোগ দেবে।’’ কংগ্রেস নেতা অনিল শিকারিয়া বলেন, ‘‘খড়্গপুর কংগ্রেসের গড়। আমাদের প্রার্থী নিরাশ হবে না।’’ বাম প্রার্থী বিপ্লব ভট্ট বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেদের ক্ষয় রোধ করে নিজেদের ভোট বাঁচাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy