চলছে কালভার্টের কাজ। — নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টি হলেই পথ চলা দায় হচ্ছিল। নালার জল উপচে স্রোত বইত রাস্তা দিয়ে। শহরের ব্যস্ত এলাকা কেরানিতলার সেই নিকাশি সমস্যা সমাধানে অবশেষে উদ্যোগী হল মেদিনীপুর পুরসভা। শুরু হয়েছে দু’দিকের দু’টি কালভার্ট সংস্কারের কাজ।
সম্প্রতি কেরানিতলার বেহাল নিকাশি পরিস্থিতি নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভের কথা প্রকাশিত হয় আনন্দবাজারে। তারপরই পুরপ্রধান প্রণব বসু এলাকা পরিদর্শনে পাঠান উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসকে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার হিমালয় খানকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে পুরসভায় বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন তিনি। তারপরই শুরু হয় সংস্কারের কাজ। উপ-পুরপ্রধানের কথায়, “আশা করি দু’টি কালভার্ট সংস্কারের পর রাস্তার উপর দিয়ে জল বইবে না।’’
কেরানিতলা শহরের জমজমাট এলাকা। রয়েছে দোকান-বাজার। ওই পথেই স্কুল, কলেজ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতালে যান বহু মানুষ। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল। ব্যস্ত এই এলাকায় নিকাশি সমস্যার জেরে এতদিন চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তেন শহরবাসী। নোংরা জল মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হত। স্থানীয় ব্যবসায়ী কৌশিক পালের কথায়, “বৃষ্টি হলে যে কী বিপদে পড়ত হত, বলে বোঝানো যাবে না।’’ পুর-কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা ছিল, কেরানিতলা মোড়ে রাস্তার নীচে থাকা কালভার্ট সঙ্কীর্ণ হওয়াতেই এমন হচ্ছে। তার উপর নালা বেয়ে আসা থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিক ও অন্য আবর্জনা জমে তা আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। রাস্তাটি পূর্ত দফতরের হওয়ায় তাদেরকেই সংস্কারের জন্য জানায় পুরসভা। পূর্ত দফতর কাজ করে দেয়। কিন্তু তারপরেও সমস্যা মেটেনি।
পরিদর্শনের পরে দেখা যায়, পাশাপাশি থাকা তিনটি কালভার্টের অবস্থাই খারাপ ছিল। পূর্ত দফতর একটি সংস্কার করলেও বাকি দু’টির কাজ হয়নি। কেরানিতলার সামনের দিকে কালভার্টের মুখও ছোট। ভেতর দিয়ে টেলিফোন-সহ বিভিন্ন তার গিয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে সেই ছোট মুখ ছাপিয়ে জল উঠে যেত রাস্তায়। শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্কুলের সামনে থাকা কালভার্টের আবার নিকাশি নালার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। কালভার্ট দু’টি সংস্কার হলে সমস্যা মিটবে বলেই আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy