প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের অন্যত্র তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল আগেই। এবার জেলাতেও শাসকদলের অন্দরে থাবা বসাল করোনা। সংক্রমিত হয়েছেন এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস।
এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রের খবর, জ্বর, সর্দির মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকালে বছর সাতাত্তরের সমরেশ হাসপাতালে আসেন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর করোনা পরীক্ষা করেন। তাতে রাতে করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। রাতেই তাঁকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সমরেশের ছেলে এবং গাড়ির চালকের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার রঞ্জন রায় বলেন, ‘‘করোনা উপসর্গ নিয়ে বিধায়ক হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁর ট্রুনাট এবং আরটিপিআর পরীক্ষা করানো হয়। তাতে পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পরে জানা যায় বিধায়ক করোনায় আক্রান্ত।’’ সমরেশ এ দিন বলেন, ‘‘শরীর খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে গিয়েছিলাম। পরীক্ষায় জানা যায়, আমি করোনা আক্রান্ত। আমাকে বড়মায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’
স্থানীয় এবং দলীয় সূত্রের খবর, দলের কিছু সভা-কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সমরেশ। গত ১৩ জুন শেষ তাঁকে বালিঘাইয়ে বাংলার গর্ব কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। দলীয় নেতা করোনা আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘উনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। দলের তরফে সভা-জমায়েত করতে বারণ করা হয়েছে।’’
অন্যদিকে, সম্পূর্ণ লকডাউনের মধ্যেই তমলুক শহরে নতুন করে তিন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে তমলুকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে দু’জন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের, এক জন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এর ফলে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল ১৪। শুক্রবার থেকে তমলুকে নতুন করে সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার শহরের একাধিক শপিংমল সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা ছিল বলে অভিযোগ। সমাজ মাধ্যমে সেই সব ছবি তুলে ধরে বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এর পরেই শনিবার সকালে পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন-সহ পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে মানিকতলা এলাকায় দুটি শপিংমল বন্ধ করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় খোলা থাকলেও পদুমবসান এলাকার শপিংমলটি এ দিন খোলেনি।
কাঁথি আবার নতুন করে জেলা প্রশাসনের গণ্ডিবদ্ধ তালিকায় এসেছে। এর পরে শুক্রবার বিকেল থেকে রাজাবাজার, সুপার মার্কেটে ঢোকার মুখে এবং মনোহর চক এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেয় প্রশাসন। এর আগে শহরের একটি বন্ধ হয়ে থাকা সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছিল।
এ দিন পাঁশকুড়ায় পরিদর্শেন যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, পাঁশকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র। স্থানীয় সূত্রের খবর, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক করোনা আক্রান্তের বাড়ির এলাকায় যান তাঁরা। সেখানে এলাকার মানুষজন তাঁদের অভিযোগ করেন যে, এলাকা ঠিকমতো স্যানিটাইজ় করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy