ফাইল ছবি।
সুপার বদল হয়েছে মাসখানেক আগেই কিন্তু বদলায়নি হাসপাতালের হাল। এমনই অভিযোগ নন্দীগ্রামের মানুষের। বুধবার ভোররাতে এক রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সেই অভিযোগ আরও প্রকট হয়েছে।
এদিন নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায় গুরুপদ পাত্র (৩০) নামে এক রোগীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’দিন আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই যুবক। নন্দীগ্রাম থানারই পারুবাড়ি গ্রামে বাড়ি হলেও থাকতেন হলদিয়ার ক্ষুদিরাম কলোনিতে। পেশায় রাজমিস্ত্রি গুরুপদকে সোমবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকা নন্দীগ্রামের দীনবন্ধুপুরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরা তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। হাসপাতালের চারতলায় ভর্তি গুরুপদর রক্তাক্ত দেহ বুধবার ভোররাতে হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সম্ভবত চারতলা থেকে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। দেহ উদ্ধার করার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তবে পড়ে গিয়ে নাকি অন্যভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে এমন ঘটনায় হাসপাতালের নজকদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালের দুরবস্থা দূর করতেকিছুদিন আগেই আগের সুপারকে বদলি করে নতুন সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও যে হাল ফেরেনি এতেই তার প্রমাণ। হাসপাতালের একাংশ কর্মচারীর গাফিলতি এখনও রয়েছে। রোগীর এ ভাবে মৃত্যু হাসপাতালে নজরদারির অভাবই সামনে এনে দিয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষী, ওয়ার্ড বয় থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এটা ঘটে?
যদিও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার পবিত্র হালদার বলেন, ‘‘দুঃখজনক মৃত্যু। কর্তব্যরত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শোকজ করা হচ্ছে। কর্তব্যে গাফিলতি প্রমাণ হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানায় এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy