অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সরকার এসেছে দুয়ারে। যান। সুযোগ নিন সরকারি প্রকল্পের।
মানুষের দুয়ারে গিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে এ ভাবেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রচার শুরু করলেন যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দলীয় সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে জেলার যুব নেতা-কর্মীদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে নির্দেশ দিয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ পেয়েই দলীয় পতাকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন যুব নেতা-কর্মীরা। এই কর্মসূচিতে গেলে কী কী সুবিধা মিলবে মানুষকে বোঝাচ্ছেন তাঁরা। সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে শাসক দল প্রচার করবে স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ হল অভিষেকের তৎপরতা। জঙ্গলমহলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগাযোগ বরাবরই নিবিড়। সাম্প্রতিক সময়েও এ জেলায় শুভেন্দুর দলহীন কর্মসূচিতে ভিড় হয়েছিল ভালই। শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। আপস-চেষ্টায় শুভেন্দু জল ঢালার পরই যে ভাবে ভার্চুয়ালি সক্রিয় হলেন অভিষেক তাতে ডালপালা মেলছে আরেকটি জল্পনা। তবে কি ঝাড়গ্রাম জেলায় নিয়ন্ত্রণ নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছেন অভিষেক!
নেতা-কর্মীদের কাজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। ফাঁকির সুযোগ নেই। তৃণমূল সূত্রের খবর, একমাস যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি ১০টি প্রকল্পের সুযোগ নিতে এলাকাবাসীকে শিবিরে যাওয়ার অনুরোধ করবেন। কেমন প্রচার করছেন, সেই ছবি ও ভিডিয়ো অভিষেকের দফতরে পাঠাতে হবে। রোজ কমপক্ষে ৫০টি বাড়িতে যেতে হবে। জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য নিয়ন্ত্রণের তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, যুব তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হিসেবে যা করার তা করছেন অভিষেক। রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে জেলার ৮টি ব্লক ও ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়ি-বাড়ি প্রচার হবে। কেউ কেউ বৃহস্পতিবার থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।’’
এ দিন ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি উজ্জ্বল পাত্র কর্মীদের নিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে যান। সঙ্গে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের যুবশক্তির দুই ফিল্ড মেম্বার অসিত দণ্ডপাট ও সৌরভ কর। এছাড়াও ছিলেন শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানি। উজ্জ্বল বলেন, ‘‘৪ ডিসেম্বর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি হবে পুরভবনে। বৃহস্পতিবার এলাকার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের শিবিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’’ এ দিন শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বামদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চলাকালীন উজ্জ্বলদের দেখা যায় শিবিরে লোকজন নিয়ে আসছেন। আবেদনপত্র পূরণে সাহায্য করছেন।
মাস কয়েক আগে যুব তৃণমূল ‘যুবশক্তি’ নামে কর্মসূচি এনেছিল। তার মূল বার্তা ছিল, যে সব ছাত্র-যুবরা সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত নন, তাঁদের কাছে পৌঁছতে হবে। তখনও আদিবাসী অধ্যুষিত এই জেলায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। যুবশক্তির রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী বার কয়েক এসে বৈঠক করে গিয়েছেন। জেলায় যুবশক্তির সদস্য প্রায় হাজার দশেক। দিন সাতেক আগে অভিষেকের দফতর থেকে জেলায় আরও দশ হাজার সদস্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুবশক্তি হোক বা দুয়ারে সরকারের প্রচার। উদ্দেশ্য স্পষ্ট। জনসংযোগ। স্পষ্ট আরেক সমীকরণও— দাদার ‘দ্বিধা’য় হোমওয়ার্ক সারছেন তৃণমূলের ‘যুবরাজ’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy