—ফাইল চিত্র।
কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখে ভোট দেওয়া নিয়ে চিন্তামুক্তি। কোথাও বাহিনী না থাকায় ক্ষোভ, প্রশ্ন রাজ্য পুলিশের ‘ভূমিকা’য়। আবার রাজ্য পুলিশের প্রশংসা, তা-ও রয়েছে! রবিবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বড়জোড়ায় ভোট-নিরাপত্তা দেখে এমনই প্রতিক্রিয়া ভোটদাতাদের ।
চিত্র এক: বীরসিংহপুর জুনিয়র হাইস্কুল। একটিই বুথ। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান। বুথ থেকে বেরিয়ে প্রবীণ দেলোয়ারা বেগম, ফিরোজা বেগমেরা বললেন, ‘‘বাহিনী থাকায় নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারলাম।’’ বাহিনীর উপস্থিতিতে কোথাও কোনও অসুবিধা হয়নি, জানান ধানশোলের কলেজ ছাত্রী, নতুন ভোটার রিম্পা সিংহও।
আবার জঙ্গলের মাঝে বেলেসোনা প্রাইমারি স্কুল। একটিই বুথ প্রায় ফাঁকা! কোনও অশান্তি হচ্ছে কি? প্রশ্ন শুনে অদূরে আটচালায় বসে থাকা স্থানীয় যুবক সৌমিত্র পাল, উপেন ঘোষেরা জানালেন, সকাল-সকাল গ্রামের ৪৬৬ জন ভোটারের প্রায় সকলে ভোট দিয়ে এসেছেন। দু’জায়গাতেই এলাকাবাসীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় ভোট হয়নি। এ বারও ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিই বদলে দিয়েছে ছবি, দাবি তাঁদের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চিত্র দুই: বড়জোড়া গার্লস হাইস্কুলের ৬১ ও ৬২ নম্বর বুথ। মোট ভোটার, দু’হাজারের কিছু বেশি। সকালে ইভিএম খারাপ, এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত কয়েক জনের বুথের ভিতরে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করা-সহ নানা অভিযোগ করছিলেন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় অভিযোগ মানেননি। বুথের ভিতরে লোক দেখেও সেখানে কর্তব্যরত রাজ্য পুলিশের চার জন কর্মী পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল, নন্দন খাঁ, সুমন ভট্টাচার্যদের। তা ছাড়া, পুলিশের সামনেই বিজেপি ও তৃণমূল দলীয় পতাকা লাগিয়ে টোটোয় চাপিয়ে ভোটারদের বুথে আনছে বলে গ্রামবাসীর একাংশের অভিযোগ। অভিযোগ মানেনি কোনও পক্ষই।
চিত্র তিন: বুথের বাইরে কয়েক জনের জমায়েত। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন রাজ্য পুলিশের কর্মীরা। সাহারজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৫ ও ১১৬ নম্বর বুথের ঘটনা। এই স্কুলে ভোটের দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার ব্যবস্থা করা হলেও, ভোটের দিন দেখা যায়, বুথ-পাহারায় থাকছে রাজ্য পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা দেবায়ন দাস, কার্তিক ঘোষেরা জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে না দেখে নিজের ভোট নিজে দিতে পারা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অনেকে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ ‘ঠিকঠাক’ কাজ করেছে বা মোটের উপরে ‘নিরপেক্ষ’ ছিল—এমন ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন ভোটারেরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy