Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুগারে ভাল নয় নকুলদানা, জানলেন কেষ্ট

একটি চিঠি পেয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত। শুক্রবার তিনিই দেখিয়েছেন সেই চিঠি। চিঠিতে আমেরিকার ডাকটিকিট সাঁটা।

সেই চিঠি দেখাচ্ছেন অনুব্রত। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

সেই চিঠি দেখাচ্ছেন অনুব্রত। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বাসুদেব ঘোষ
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৮
Share: Save:

রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে নকুলদানা খাওয়া ভাল নয়। এই কথাটাই মনে করিয়ে দেওয়া হল এ বার ভোটে ‘নকুলদানা’ তত্ত্বের প্রবর্তক অনুব্রত মণ্ডলকে। মনে করাল একটি চিঠি, যাতে প্রেরক হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ‘নকুলদানা হোলসেলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর নাম।

একটি চিঠি পেয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত। শুক্রবার তিনিই দেখিয়েছেন সেই চিঠি। চিঠিতে আমেরিকার ডাকটিকিট সাঁটা। ঠিকানা দেওয়া ক্যালিফর্নিয়ার। আদৌ তা আমেরিকা থেকে এসেছে কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি। চিঠিতে লেখা, ‘আপনি ভোটারদের নকুলদানা দিচ্ছেন। আশা করছেন, তাঁরা ‘টিএমসি’-র হয়ে ভোট দেবেন। আপনি নকুলদানা ভালবাসলে আমরা আপনাকেও কিছু দিতে পারি।’’ এর পরেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘‘কিন্তু, সেটা কি আপনার পক্ষে সত্যি ভাল হবে? আপনি হাই ব্লাড সুগারের রুগী।’’

অনুব্রত অবশ্য নিজের মেজাজেই উত্তর দিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজই চিঠি পেয়েছি। ভোটের পরে চিঠির জবাব দেব। তবে, আমার এখন সুগার নেই। তা ছাড়া নকুলদানা যে কেউ খেতে পারে। তাতে রক্ত পরিষ্কার হয়।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ বার নির্বাচনের আগে শাসক দলকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিতে ভোটারদের নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়েছিলেন অনুব্রত। তা নিয়ে চর্চাও হয়েছে বিস্তর। বিভিন্ন সময়ে অনুব্রতের মুখে এমন না কথা শোনা গিয়েছে। বিরোধীরা নকুলদানার মধ্যে ‘দানা’ অংশটিকে ধরে নানা মানে খুঁজেছেন। জল্পনা ছড়িয়েছে, এ দানা খাওয়ার না পোরার! চর্চা যতই হোক না কেন, জেলা সভাপতির ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে দলের কর্মীরাও নেমে পড়েছেন নকুলদানা হাতে। দলীয় প্রার্থীর প্রচারে বাড়ি বাড়ি নকুলদানা বিলি শুরু হয়েছে। অনুব্রত পরে মন্তব্য করেন, বিরোধী দলের সমর্থকদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ‘নকুলদানা খাওয়ানো হবে’। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে তাঁকে শো-কজ করে নির্বাচন কমিশন। তাঁর জবাব পেয়েও ফের সতর্ক করা হয় কমিশনের তরফে।

তৃণমূলের কিছু জেলা নেতা মনে করছেন, বিরোধী দলের কেউ ‘দুষ্টুমি’ করে এমন চিঠি পাঠিয়েছে তাঁদের দলের সভাপতিকে। চিঠিতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েও কি তাঁরই মতো নকুলদানা পছন্দ করেন? বিরোধীরা আবার এটাকে অনুব্রতের ‘চমক’ হিসাবেই দেখছেন। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘এটা সাজানো চিঠি। নকুলদানা হোক বা অন্য কোনও দানা হোক না কেন, এ সব চিঠি দেখিয়ে তৃণমূলকে বাঁচানো যাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE