Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

দুই মিছিলের জেরে ফের অবরুদ্ধ শহর

মিছিলের জোড়া ফলায় ফের বিদ্ধ হল শহর। ফলে, দুপুর দুটো থেকে প্রায় বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যানজট হয়। পাঁচটার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে পুলিশের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৭
Share: Save:

মিছিলের জোড়া ফলায় ফের বিদ্ধ হল শহর। ফলে, দুপুর দুটো থেকে প্রায় বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যানজট হয়। পাঁচটার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে পুলিশের দাবি।

বুধবার শহরে কংগ্রেসের এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন ওয়েবকুটার আলাদা করে বিধানসভা অভিযান কর্মসূচি ছিল। দু’টি মিছিলেরই পথ নির্ধারিত ছিল ভিন্ন সময়ে একই রাস্তায়। এই পরিস্থিতিতেই তৈরি হয় সমস্যা। ওয়েবকুটার মিছিলের সময় এবং রাস্তা পরিবর্তন করে মধ্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে আনা হয়। ফলে এই রাস্তার একাংশে যানজট তৈরি হয়। অন্য দিকে, ঠিক এই সময়েই কংগ্রেস কর্মীদের মিছিলও আটকে দেওয়া হয় এস এন ব্যানার্জি রোডে। এর ফলে ধর্মতলাগামী সমস্ত যানবাহন কার্যত আটকে যায়। এর পাশাপাশি, এ দিন ডায়মন্ড হারবার রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃতার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা সকাল দশটা থেকে ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ করেন। এর জেরে ইকবালপুর এলাকায় যানজট তৈরি হয়।

ঠিক কী হয়েছিল এ দিন? কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, ওয়েবকুটার জন্য নির্ধারিত পথ ছিল কলেজ স্কোয়্যারে বিদ্যাসাগর মূর্তি সামনে থেকে শুরু করে, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে বিধানসভা। অন্য দিকে, কংগ্রেস কর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে যাত্রা শুরু করে এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে বিধানসভা। কিন্তু দু’টি মিছিলই একই সময়ে শুরু হওয়ায় তৈরি হয় সমস্যা। ওয়েবকুটার যে মিছিল বেলা দু’টোয় শুরু হওয়ার কথা, তা চল্লিশ মিনিট পরে শুরু করতে সংগঠকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও, তাঁদের মিছিল পূর্ব নির্ধারিত পথে না নিয়ে গিয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ অভিযোগ করেন, ‘‘ নয়া শিক্ষা বিলের বিরোধিতা করে আমাদের মিছিল বেরোনোর কথা ছিল বেলা দু’টো থেকে। কংগ্রেসের মিছিলের কথা বেলা বারোটায়। কিন্তু তাদের মিছিলের দেরির জন্য আমরা পুলিশের নির্দেশ মেনে চল্লিশ মিনিট দেরিতে পরিবর্তিত রুটে মিছিল শুরু করি। কিন্তু তার পরেও যখন বেরোতে যাই তখন পুলিশ আমাদের লাঠি মারে। রেলগার্ড দিয়ে ব্যারিকেড করে।’’ পুলিশ অবশ্য লাঠি মারার কথা অস্বীকার করে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষা বিল বিধানসভায় পেশ হয়ে গিয়েছে। এ দিন ওয়েবকুটার এই মিছিল ছিল তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।’’

একই দিনে একই রুটে পুলিশ কেন মিছিলের অনুমতি দিল?

লালবাজারের এক আধিকারিকের কথায়, কংগ্রেসের মিছিলের অনুমতি দেওয়া ছিল ওয়েবকুটার মিছিলের প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক আগে। কিন্তু তাঁরা দেরি করে মিছিল শুরু করেন। ওয়েবকুটার মিছিলের সঙ্গে যাতে কোনও রকম ভাবে সংঘাত না হয়, তাই ওয়েবকুটার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। মিছিলের পথও পরিবর্তন করা হয়। যানজট এড়াতে এ দিন এই সময়ে মেয়ো রোড দিয়ে উত্তরমুখী গাড়ি ঘোরানো হয়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে আসা গাড়িগুলিকেও বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মোড় থেকে ঘোরানো হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

অন্য বিষয়গুলি:

Political Rallies Traffic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy