Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

কার হাতে রাশ, প্রশ্ন টিএমসিপিতে

প্রত্যাশা মতো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের কোন গোষ্ঠীর হাতে সংসদের দায়িত্ব থাকবে, শনিবার বিকেলের পর থেকে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:২৪
Share: Save:

প্রত্যাশা মতো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের কোন গোষ্ঠীর হাতে সংসদের দায়িত্ব থাকবে, শনিবার বিকেলের পর থেকে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। সমস্যা সমাধানে দু’পক্ষই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোর্টে বল ঠেলেছে। পার্থবাবু বলেছেন, ‘‘ছাত্র সংসদের কে সাধারণ সম্পাদক হবেন, তা ঠিক করবেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব।’’ পার্থবাবুর কটাক্ষ, ‘‘বিরোধীরা দাবি করেছিলেন শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তাঁরা ভাল ফল করবেন। কিন্তু তাঁদের তো খুঁজেই পাওয়া গেল না।’’

এই নির্বাচনে ৮০%-এর বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শনিবার ছিল বাকি আসনগুলির ভোট। ফল বলছে, সেখানে দাঁড়াতেই পারেননি বিরোধী সংগঠনের প্রার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মোট আসন ছিল ৮৪০টি। এ দিন ভোট হয়েছে ১৪০ আসনে। এসএফআই দাবি করেছে, তারা ২৪টি আসন পেয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত ভোটের ফল নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বারের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোট নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর টানাটানিতে উত্তেজনা ছিল প্রথম থেকেই। দুই গোষ্ঠীই মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। বিরোধ চূড়ান্ত আকার নেয় ১৯ জানুয়ারি। অভিযোগ ওঠে, কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে সংগঠনের সভানেত্রী জয়া দত্ত বহিরাগতদের নিয়ে ঢুকেছেন। এর পরিণতিতে তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি অশোক
রুদ্রের গোষ্ঠীর হাতাহাতি হয়। আক্রান্ত হন কয়েক জন। এর পরে আসরে নামেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি একটিই প্রার্থী তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। গত সপ্তাহে বিবদমান দু’পক্ষকে ডেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর পরামর্শও দেন।

তাতে যে বিশেষ কাজ হয়নি, ভোট মিটতেই ফের তা প্রকাশ্যে আসে। ভোট শুরুর আগে থেকেই কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের বাইরে দু’পক্ষ দূরত্ব বজায় রেখে শিবির তৈরি করে। অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। অবশ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। টিএমসিপি সূত্রে খবর, ছাত্র সংসদের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়া গোষ্ঠীর মণিশঙ্কর মণ্ডল ও অশোক রুদ্র-সুজিত শ্যাম গোষ্ঠীর আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার নাম এগিয়ে আছে। দু’পক্ষই একে-অপরের চেয়ে বেশি আসন পাওয়ার দাবি করতে থাকে। কিছু আসনে যে শুধু দুই গোষ্ঠীর প্রার্থীরাই ছিলেন, তা স্বীকার করে নেন তাঁরা। এই বিতর্ক-বিরোধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়া দত্ত বলেন, ‘‘দলের মহাসচিব পার্থদার সঙ্গে আলোচনা করেই সব ঠিক হবে।’’ অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মণিশঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘মতানৈক্য ছিল। কিন্তু তা মিটেছে। এক পরিবারের মতো আমরা ভোটে লড়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta University TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy