ঠাকুরপুকুরে বাজারের ভিতরে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে এক প্রৌঢ়কে মেরে ফেলার ঘটনাটি কার্যত মনেই করতে পারছেন না ধৃত গাড়িচালক সিদ্ধান্ত দাস। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দফায় দফায় সিদ্ধান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁর কথায় উল্টে ধোঁয়াশা
বাড়ছে। ফলে, তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার উপরেই জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
দিন দশেক আগে ঠাকুরপুকুরে ব্যস্ত বাজারের ভিতরে বেপরোয়া ভাবে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। সেটির ধাক্কায় মৃত্যু হয় আমিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তির। ঘটনার পরে
ক্ষুব্ধ জনতা গাড়িচালক সিদ্ধান্ত দাসকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ, চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তদন্তে উঠে আসে, চালকের রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার কয়েক গুণ বেশি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দু’দফায় সিদ্ধান্তকে হেফাজতে নিয়ে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সে দিনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি প্রায় কিছুই বলতে পারছেন না। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তারও স্পষ্ট ব্যাখ্যা চালক দিতে পারেননি বলেই জানা গিয়েছে। ফলে, দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য-প্রমাণের উপরে জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ধৃত গাড়িচালককে বুধবার আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী সৌভিক ঘোষাল বলেন, ‘‘অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)