Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

ভাঙন রুখতে উদ্যোগী পুরসভা ও সেচ দফতর

একটু একটু করে নদী গ্রাস করছিল একের পর এক বাড়ি, মন্দির-সহ সব কিছু। ভাঙন ক্রমশ বাড়তে থাকায় শে‌ষমেশ নিজেদের পকেট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে শালখুঁটি পুঁতে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন ঘুসুড়ির শান্তিনগর চড়ার বাসিন্দারা। লাভ হয়নি।

দেবাশিস দাশ ও শান্তনু ঘোষ
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৩
Share: Save:

একটু একটু করে নদী গ্রাস করছিল একের পর এক বাড়ি, মন্দির-সহ সব কিছু। ভাঙন ক্রমশ বাড়তে থাকায় শে‌ষমেশ নিজেদের পকেট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে শালখুঁটি পুঁতে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন ঘুসুড়ির শান্তিনগর চড়ার বাসিন্দারা। লাভ হয়নি। ফের নদীগর্ভে চলে গিয়েছে আরও বেশ কিছুটা জায়গা।

ঘুসুড়ির জেএন মুখার্জি রোডে শান্তিনগর চড়ার এই ভাঙন রুখতে বারবার কলকাতা বন্দরকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ হাওড়ার পুরকর্তাদের। শেষমেশ উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সেচ দফতর ও হাওড়া পুরসভা। শুক্রবার হাওড়া পুরভবনে রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র রথীন চক্রবর্তী এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লের উপস্থিতিতে দুই দফতরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভাঙন রোধের কাজ শুরুর আগে ৮ জানুয়ারি, রবিবার বিকেলে এলাকা পরিদর্শন করতে যাবেন সেচমন্ত্রী, মেয়র ও অন্যরা।

রাজীববাবু বলেন, ‘‘ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত অনিশ্চিত জীবন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। বারবার জানিয়েও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের উত্তর মেলেনি। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাঙন রোধের কাজ করতে হবে।’’ মেয়র রথীনবাবু জানান, বাড়িঘর, মন্দির, ক্লাব নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পরে এখন রাস্তাতেও ভাঙন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আরও ক্ষতির আশঙ্কা।

শান্তিনগর চড়ায় প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে গঙ্গাপাড়ে অসংখ্য কারখানা, গুদাম ও অন্তত কয়েকশো বাড়ি। প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস চলছে। গত তিন বছর ধরেই জোয়ারের জলের ধাক্কায় ও বিশেষত বর্ষায় ভরা কোটালে পাড় ভেঙে সব তলিয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা কখনওই ব্যবস্থা নেয় না।

রথীনবাবু বলেন, ‘‘ওই এলাকা কলকাতা বন্দরের। নদীর পাড় রক্ষা করা মূলত তাঁদেরই দায়িত্ব। তবু মানবিক কারণে আমরা সেচ দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করে দেব।’’ মেয়র জানান, কী কী কাজ করা দরকার এবং কত টাকা খরচ হতে পারে সবই রবিবার খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি বালিখাল থেকে নাজিরগঞ্জ পর্যন্ত গঙ্গাপাড়ে কোথায় কী অবস্থা রয়েছে, তা-ও বন্দরকে জানানো হবে।

ঘুসুড়ির ভাঙনের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অন্য বিষয়গুলি:

Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy