শহর জঞ্জালমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পুরসভাকে কম্প্যাক্টর দিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনও পর্যন্ত সেই কম্প্যাক্টরের ব্যবহার শুরুই হয়নি। উল্টে কম্প্যাক্টর যন্ত্রে মরচে পড়ছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নগরোন্নয়ন দফতর। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সাফ বক্তব্য, পুর-প্রধানদের দোষে যদি কম্প্যাক্টর খারাপ হয়, তবে পুরসভাতেই তাঁদের ভৎসর্না করা হবে। ফেরত নিয়ে নেওয়া হবে কম্প্যাক্টর। এমনকি, পুর-এলাকায় কম্প্যাক্টর কাজ করছে কি না তা জানতে এবার জিপিএস ব্যবস্থাও চালু করা হবে বলে জানান পুরমন্ত্রী।
কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্প বাতিল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে গ্রিন সিটি তৈরির পরিকল্পনা করেছেন। নগরোন্নয়ন দফতর জানাচ্ছে, পরিচ্ছন্নতা এবং সবুজায়ন গ্রিন সিটি প্রকল্পে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কোন পুরসভা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা জানতে এ দিন নিউটাউনের নজরুলতীর্থে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের ১১৮টি পুরসভা যোগ দিয়েছিল।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময়েই বলেন, ‘‘২০০টি কম্প্যাক্টর বিভিন্ন পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই সেগুলি ব্যবহার হচ্ছে না। কম্প্যাক্টরের ছাউনিও তৈরি করেনি বহু পুরসভা। ব্যবহার না করলে কম্প্যাক্টর কেড়ে নেওয়া হবে।’’
কম্প্যাক্টর ব্যবহার না করলে কোনও পুরসভা থেকে যদি তা সরিয়ে নেওয়া হয়, সেই এলাকার জঞ্জাল অপসারণের কী ব্যবস্থা হবে?
বৈঠকের পরে পুরমন্ত্রী বলেন,‘‘যা হবে দেখা যাবে। পুরসভার দোষে যদি কম্প্যাক্টরে মরচে পড়ে, তবে সেখানকার পুরপ্রধানকে তাঁর পুরসভাতেই ভৎর্সনা করা হবে।’’ যদিও কোন কোন পুরসভা কম্প্যাক্টর ব্যবহার না করে ফেলে রেখেছে তা খোলসা করেননি মন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, সিপিএমের দখলে থাকা তিনটি পুরসভায় জঞ্জাল অপসারণের ওই যন্ত্র অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
গ্রিন সিটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে কী কী করণীয় সে সম্বন্ধে একগুচ্ছ প্রস্তাব পুরসভাগুলিকে দিয়েছে নগরোন্নয়ন দফতর। প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পুর এলাকাগুলিতে যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব জলাশয় তৈরি করার উপরে। পুরমন্ত্রী জানান, জলাশয় এবং গাছের সংখ্যা যথাসম্ভব বাড়াতে বলা হয়েছে পুরসভাগুলিকে। তিনি বলেন,‘‘যেখানে জায়গার অভাবে সবুজায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, সেই সব জায়গায় রাজ্য সরকার কারিগরি সহায়তা দেবে।’’
এ দিন পুরসভাগুলির সঙ্গে ওই বৈঠকে নিউ টাউনকে ‘মডেল’ করেই আলোচনা করেছেন নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তারা। দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন নিজে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে দেখান কী ভাবে নিউ টাউনকে পরিবেশবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। পরে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পুরসভাগুলি কতটা তৈরি রয়েছে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy