দিন দু’য়েক আগে গাড়ি করে যাওয়ার সময়ে তিনি লক্ষ করেছিলেন, রাস্তার ধারের নিকাশি নালা ‘দখল’ করে তৈরি হয়েছে দোকান। তাঁরই পুরসভা এলাকায় কে বা কারা এমন কাজ করেছে, তা জানতে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেছিলেন পুর প্রধান। কারও কাছেই ঠিক উত্তর পাননি। শেষে মঙ্গলবার সকালে নিজে দাঁড়িয়ে সমস্ত দোকান ভেঙে দিলেন পুর প্রধান তাপস পাল।
ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ পুরসভার ডাঙাপাড়ায়। প্রায় ১৬টির মতো দোকান এবং দোকান বানানোর জন্য যে কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি হয়েছিল, জেসিবি মেশিন দিয়ে সব ভেঙে দেন পুরকর্মীরা। তাপসবাবু বলেন, ‘‘নিকাশি নালার উপরে কংক্রিটের স্ল্যাব ঢেকে তার উপরে দোকান হচ্ছে, অথচ আমি বিন্দুবিসর্গ জানি না।’’ তাঁর অভিযোগ, এই বেআইনি কাজের পিছনে টাকার লেনদেন হয়েছে। পুর প্রধানের কথায়, ‘‘খবর পেয়েছি এক শ্রেণির লোক দোকান বসানোর জন্য ১৫-২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। গোটা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’’ প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য পড়ে থাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তাপসবাবু। সব ইমারতি দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছিলেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, ডাঙাপাড়া এলাকার রাস্তার এক দিকে ৩ নম্বর এবং উল্টো দিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড। মিশনপাড়া, ডাঙাপাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশির জন্য ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে একটি বড় নর্দমা রয়েছে। রবিবার ওই রাস্তা ধরে ফিরছিলেন তাপসবাবু। তিনি জানান, ডাঙাপাড়া আসতেই তাঁর চোখে পড়ে, ওই বড় নর্দমার উপরে কংক্রিটের স্ল্যাব ঢাকা। কিছুটা এগোতে দেখা যায়, স্ল্যাবের উপরে টিন দিয়ে দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে। কে বা কারা নর্দমার উপরে দোকান তৈরির অনুমতি দিল জানতে স্থানীয় নেতৃত্বদের ফোন করেন তাপসবাবু। কিন্তু সকলেই বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন। এর পরেই সোমবার পুরসভায় গিয়ে তিনি সব দোকান ভাঙার নির্দেশ দেন।
তবে এলাকায় দোকান ভাঙতে গেলে পুরকর্মীদের কেউ যদি বাধা দেন, তাই এ দিন অভিযান চলার সময়ে নিজে উপস্থিত ছিলেন পুর প্রধান। যদিও গোটা অভিযানে কেউ বাধা দেননি। খড়দহের পুর প্রতিনিধিদের একাংশ অবশ্য বলছেন, বাধা দিতে এলেই ধরা পড়ার ভয় ছিল। তাই কেউ সামনে আসেননি। এক পুরকর্তা বলেন, ‘‘বড় নর্দমার উপরে দোকান বসে গেলে বর্ষায় সমস্যা হত। কারণ নালা সাফ করা যেত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy