সল্টলেকে হানা দিচ্ছে নতুন দুষ্কৃতী চক্র। শুধুমাত্র বসতবাড়ি নয়, তাঁদের নিশানায় বিভিন্ন দোকান, বাজারও রয়েছে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বড়সড় ডাকাতির পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে একটি চক্রের পাঁচ জন দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলল বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ভোজালি, লোহার রড, দা ও বোমা। ধৃতেরা সকলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর, জীবনতলার বাসিন্দা। ধৃতদের নাম রামপদ হালদার (৫১), শেখ সিকান্দার ওরফে জুম্মান (৫১), ভোলা মণ্ডল (৪৫), রবি অধিকারী (৩৬) ও সনু শেখ (১৯)। শনিবার ধৃতদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়। দু’জনকে পুলিশ হেফাজত ও বাকি তিন জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে টহল দেওয়ার সময়ে পুলিশকর্মীরা দেখেন বৈশাখী মোড়ের কাছে একটি শপিং মলের পিছনের জমিতে বসে কয়েক জন আড্ডা দিচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকর্মীরা যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ৫ জন পালিয়ে যায়। বাকি ৫ জনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
এর আগে সল্টলেকে চুরি, ডাকাতি করতে এসে বহু দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে। কিন্তু এ বার দুষ্কৃতীদের কাছে বোমা মেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশের কপালে। এক পুলিশকর্তার কথায়, নতুন নতুন চক্র হানা দিচ্ছে। পুলিশ নজরদারিও বাড়িয়েছে। শুক্রবারের চক্রটির পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।
বৈশাখী, এ জি ব্লকের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, পুলিশ সক্রিয় হওয়ায় বড়সড় ডাকাতির হাত থেকে তাঁরা রক্ষা পেলেন। কিছু দিন ধরেই রাতে অপরিচিত মুখ শপিং মলের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে। বাসিন্দাদের কথায়, স্থানীয়েরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গল্পগুজব করে। কিন্তু গভীর রাতেও বেশ কিছু লোককে দেখা যায়। অনেক সময়ে মলে দোকানের সামগ্রী নিয়ে ম্যাটাডর আসে। মালপত্র ওঠানো নামানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এত অস্ত্র নিয়ে ১০ জনের দুষ্কৃতী দলটি কেন বৈশাখীতে গিয়েছিল, তা জানতে জেরা চলছে। এলাকার বাড়িতে ডাকাতি অথবা শপিং মলে
কোনও অপরাধমূলক কাজের পরিকল্পনা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy