—নিজস্ব চিত্র।
ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে হাওড়া স্টেশন চত্বর। অন্তত ২৫টি জায়গায় জমা জলে এডিস মশার সন্ধান পেল হাওড়া পুরসভা। বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়ে জানানোও হয়েছে। হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, হাওড়া স্টেশন চত্বর নিয়মিত সাফাই করা হয়। প্রয়োজনে আরও বেশি সাফাই করা হবে।
এ বছর পুজোর মুখে হাওড়া পুর এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় ‘বিশেষ অভিযান’ও চালিয়েছে পুর-প্রশাসন। পুরসভা সূত্রে খবর, শুক্রবার হাওড়া স্টেশন চত্বরে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা যান। দেখেন, বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। অন্তত ২৫টি জায়গায় জমা জলে ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্স ও নতুন কমপ্লেক্স সংলগ্ন রেলের গুদামও। পার্কিং জোন ও তার আশপাশের এলাকা থেকেও প্রচুর আবর্জনা মিলেছে। প্লাস্টিকের কাপ, ডাবের খোলা এবং ছোট ছোট গর্তের জমা জল থেকে ডেঙ্গি মশার লার্ভা মিলেছে। পরে হাওড়া স্টেশন চত্বরে মশা মারার স্প্রে-ও ব্যবহার করেন পুরসভার কর্মীরা।
শনিবার হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গত দু’দিন ধরে পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল টিম হাওড়া স্টেশন চত্বরে অভিযান চালিয়েছে। কমপক্ষে ২৫টি জায়গায় ডেঙ্গি মশার লার্ভার সন্ধান মিলেছে। পুরসভার পক্ষ থেকে মশা মারার তেল স্প্রে করা হয়েছে।’’ সুজয়ই জানান, হাওড়া পুরসভার তরফে রেল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব বলেন, ‘‘রেলের সাফাইকর্মীরা নিয়মিত সাফাইয়ের কাজ করেন। এখনও ডেঙ্গি মশার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। তবে সে রকম কিছু হলে রেলকর্মীরা আরও বেশি করে সাফাই করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy