জাতীয় সড়কের টোলওয়ে এবং টোল ফ্রি রাস্তা থেকে পার্কিং সরাতে প্রতিদিনই অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার বালিতে সেই কাজ করতে গিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্মীেক হেনস্থার অভিযোগ উঠল লরি চালকদের বিরুদ্ধে। প্রথমে রাস্তাতেই কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কি এবং পরে রীতিমতো ট্র্যাফিক পুিলশের অফিসে এসে ঝামেলার অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেই হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা নির্দেশ দেন বালির দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কোনও লরি পার্কিং করতে দেওয়া যাবে না। এমনকী নিবেদিতা সেতু টোলপ্লাজার রাস্তাতেও সারা দিন ধরে সার দিয়ে লরি পার্কিং বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ, রাস্তার ধারে পার্কিংয়ের ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছিল এলাকায়। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় দিনের বেলায় ‘নো-এন্ট্রি’ থাকায় বালিতে এসেই জাতীয় সড়ক ও টোলপ্লাজার রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ত লরি-ট্রাক।
পুলিশ কর্তাদের নির্দেশমতো প্রতিদিন পার্কিং সরানোর কাজ করেন বালি ট্র্যাফিকের কর্মীরা। এ দিন সকালে দুই অফিসার তুষার বৈদ্য ও বিদ্যুৎ সিংহ পার্কিং সরাচ্ছিলেন। সেই সময় টোলপ্লাজার ভিতরে থাকা লরি চালকদের এক জন এসে প্রতিবাদ করেন। কেন প্রতিদিন লরি সরিয়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে পুলিশ কর্মীকে ধাক্কাও মারেন ওই চালক। সেই সময় রাস্তার পাশে থাকা একটি গ্যারাজের মালিক এসে ওই পুলিশদের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। এরপরে ওই চালক ও গ্যারাজ মালিককে বালি ট্রাফিককে নিয়ে আসেন ওই অফিসারেরা।
অভিযোগ, এরপরেই কয়েকজন গ্যারাজ মালিক বালি ট্র্যাফিকে এসে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারেরা বাধা দেন। তখনই তাঁদের ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে গ্রিলের দরজা খুলে জোর করে ভিতরে ঢোকেন ওই মালিকেরা। এএসআই বাধা দিতে এলে তাঁকেও ধাক্কা মারা হয়। ট্র্যাফিক আইসি কল্যাণ চক্রবর্তী অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে এসে তিনজনকে আটক করে বালি থানার হাতে তুলে দেন। পুলিশকে হেনস্থা ও জোর করে অফিসে ঢোকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy