—প্রতীকী ছবি।
গোঁফের একদিক কামানো। মাথার দু’দিকে অর্ধেক কাটা চুল। এই চেহারার জন্যই পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে থেকে পালালেও ফের ধরা পড়ে গেল মাছ চুরিতে অভিযুক্ত এক আসামি। শুক্রবার বিকালে আরামবাগ আদালত চত্বরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরামবাগের রাগপুরের বাসিন্দা বছর ছত্রিশের ওই যুবকের নাম লক্ষ্মী ওরফে ফোরকে পোড়েল। সে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের গ্রামের পুকুরে মাছ চুরি করছিল। তখন কয়েকজন গ্রামবাসী ওই যুবককে ধরে তার গোঁফের ডান দিক এবং মাথার দু’দিকের চুল অর্ধেক কেটে দেয়।
তারপর তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার তাকে আরামবাগ আদালতে তোলে পুলিশ। সেখানে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোলমাল শুরু হয় এরপর।
শুক্রবার দিন বিকেলে আরামবাগ আদালতে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৫টা নাগাদ জেল হেফাজত হওয়া আসামিদের আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। তখনই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে আদালত সংলগ্ন গলি দিয়ে গৌরহাটি মোড়ের দিকে পালায় ফোরকে। বিষয়টি জানাজানি হতেই তার পিছু নেয় পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের চোখে ধুলো সফল হলেও গোঁফ ও চুল অর্ধেক কাটা থাকার জন্য ওই যুবককে চিনতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের। আরামাগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দমার্গ স্কুল সংলগ্ন প্রফেসর পাড়া থেকে তাকে ধরা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী জানান, ওই আসামি আচমকা দৌড় লাগায়।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “আসামি পাওয়া গিয়েছে। আসামি পালিয়ে গিয়েছিল কি না কিংবা নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি আছে কি না তদন্ত করে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy