টেনিসে জোড়া খেতাব পেয়েছে ছেলে। আর পাঁচজনের মতো বাবা-মায়ের আনন্দ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই আনন্দে বাবার প্রাণ চলে যাবে ভাবতেও পারেননি খেতাব জয়ী অর্ঘ্য। ছেলের খেতাব জয়ের পরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাবা সুবীররঞ্জন দাস (৫২) মাঠের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আগেই গুয়াহাটির টেনিস কোর্টে মারা যান হুগলির শ্রীরামপুরের গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা সুবীরবাবু।
পরিবার এবং পড়শিদের সঙ্গে কথা গলে জানা গিয়েছে, সুবীরবাবু একটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। সেখান থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নেন। ছেলে অর্ঘ্য শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। তিনি টেনিস খেলে। গত ২০ তারিখে অর্ঘ্য গুয়াহাটিতে যান অনূর্ধ্ব ১৮ টেনিস প্রতিযোগিতায় যোগদান করতে। সঙ্গে ছিলেন সুবীরবাবু। গত বারেও এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন অর্ঘ্য। কিন্তু সে বার অবশ্য খেতাব পাননি। এ বারে একটা নয়, দু’টি খেতার পেয়েছেন। ডাবলস এবং সিঙ্গলস দু’টিতেই সেরার শিরোপা ওঠে তাঁর মাথায়। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সিঙ্গলস ফাইনাল শেষ হয়। চ্যাম্পিয়ন হন অর্ঘ্য। চোখের সামনে ছেলের জয় দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন সুবীরবাবু। ম্যাচ শেষে যখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছে। তখনই তিনি অসুস্থতা বোধ করেন। কোর্টের ধারে পড়ে যান। বমি করেন। চিকিৎসার কার্যত কোনও রকম সুযোগ মেলার আগেই তিনি সেখানেই মারা যান।
পরিবারের লোকজন জানান, ওই দিনই দুপুর সাড়ে ১২টায় অর্ঘ্য এবং সুবীরবাবুর ফেরার ট্রেন ছিল। মর্মান্তিক ওই ঘটনার কথা চাউর হতে শ্রীরামপুরে তাঁদের বাড়ির এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ বিমানে করে দমদমে আনা হয়। তারপরে কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে আনা হয়। সেখানে পড়শিদের ভিড় ভেঙে পড়ে। শ্রীরামপুর মহকুমা টেনিস ক্লাবের সম্পাদক অলোক সিংহ বলেন, ‘‘অর্ঘ্য আমাদের ক্লাবে খেলে। বেশ প্রতিভাবান ছেলে। স্বভাবতই সুবীরবাবু ছেলের খেলা নিয়ে খুবই উৎসাহী ছিলেন। ওর যেখানেই খেলা থাকত উনি চলে যেতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মারা গেলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy