উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে থাকা গ্রামে সরকারি সুযোগসুবিধা পৌঁছে দিতে হাওড়া জেলায় শুরু হচ্ছে ক্লাস্টার। ডোমজুড় ব্লকের পার্বতীপুর এবং পাঁচলা ব্লকের জলা বিশ্বনাথপুর পঞ্চায়েত এই প্রকল্পের আওতায় আসবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস্টার উন্নয়ন প্রকল্পের আসল নাম হল জাতীয় গ্রামীণ নগর মিশন। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্গত এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে শুরু হয়। এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, একাধিক গ্রামকে নিয়ে একটি ক্লাস্টার তৈরি হবে। সেই গ্রামগুলিতে রাস্তা, নিকাশি, জল সরবরাহ, বৈদ্যুতিকরণ-সহ উন্নয়নের কাজ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামোন্নয়নে চলতি বরাদ্দের সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সাহায্য মিলবে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, একটি ক্লাস্টারের উন্নয়নের জন্য সর্বাধিক ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করা যাবে। যে টাকা খরচ হবে তার ৭০ শতাংশ গ্রামোন্নয়নের চলতি বরাদ্দ থেকে খরচ হবে। বাকি ৩০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। চলতি বরাদ্দের মধ্যে থাকবে চতুর্দশ অর্থ কমিশন, চতুর্থ রাজ্য অর্থ কমিশন, গ্রাম পঞ্চায়েতের সশক্তিকরণ প্রকল্পের মতো বরাদ্দ। ওই কর্তা জানান, এ রাজ্যে একটি পঞ্চায়েতের অধীনে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। তাই আলাদা করে কোনও গ্রাম নির্বাচন না করে গোটা পঞ্চায়েত বাছাই করা হয়েছে।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় যে দু’টি পঞ্চায়েতকে বাছা হয়েছে সেখানে উন্নয়নে অনেক ঘাটতি রয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছে, জলা বিশ্বনাথপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় নেই পানীয় জল এবং সুষ্ঠু নিকাশির ব্যবস্থা। রাস্তায় আলো নেই। অধিকাংশ বাড়িতে নেই শৌচাগার। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। ডোমজুড়ের পার্বতীপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামেও কমবেশি চোখে পড়েছে অনুন্নয়নের ছবি। তাই এই দু’টি পঞ্চায়েতকে ক্লাস্টার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু হবে। উন্নয়নের কাজ শেষ করতে ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy