ভাইফোঁটা নিতে এসে কিশোরের দুর্ঘটনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
ভাইফোঁটার আনন্দ মুহূর্তে বদলে গেল চরম উত্কণ্ঠা ও বিষাদে। হাওড়ার শরত্ চ্যাটার্জি লেনে মামার বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে এসেছিল বছর চোদ্দোর এক কিশোর। কিন্তু দুপুরে মামাতো দাদার নতুন স্কুটারে চেপে বেড়াতে বেড়িয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সে। পুলিশ জানিয়েছে, অমর্ত্যদীপ তালুকদার নামে ওই কিশোর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে নবান্নের সামনে বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা নাগাদ মামাতো দাদার সঙ্গে অ্যাপ্রোচ রোডেই ঘুরতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, স্কুটারের দুই আরোহীর কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। জানা গিয়েছে, তারাই উল্টোপথে মন্দিরতলায় ফিরে আসার সময়ে আচমকা সামনে এসে পড়ে একটি গাড়ি। তখন গতি সামলাতে না পেরে সজোরে সেতুর র্যাম্পে ধাক্কা মারে স্কুটারটি। ছিটকে পড়ে ওই কিশোর। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে তার। সামান্য আহত হন তার দাদাও। ওই সময়ে র্যাম্পে ডিউটিতে ছিলেন এক পুলিশকর্মী। তিনি ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ওই কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাতের পাশাপাশি তার শরীরের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে।
কালীপুজোর রাতে গুলি, ধৃত দুই দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর
কালী পুজোর রাতে এক যুবককে গুলি করার অভিযোগে পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শনিবার চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কার্তিক সাউ এবং চন্দন বর্মন। চন্দনগরের এসডিপিও সৈকত ঘোষ বলেন,“ওই গুলি চালানোর ঘটনায় অন্য কোনও দুষ্কৃতী জড়িত কি না তা দেখা হচ্ছে।” জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, কালীপুজোর রাতে জয়ন্ত ঘোষ নামে এক যুবককে গুলি করে গা-ঢাকা দেয় কার্তিক এবং তার দলবল। তাদের নামে ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় গুলিবিদ্ধ যুবকের তরফে। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানান, পুরনো শত্রুতার জেরেই ওই যুবককে গুলি করা হয়। তার বিরুদ্ধেও নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের দলবলের বিরুদ্ধেও ধৃতদের গুলি করার অভিযোগ রয়েছে। তারই পাল্টা ওই যুবককে গুলি করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ একটি সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার গোন্দলপাড়া এলাকার ডেরা থেকেই তাঁদের ধরে।
স্ত্রীকে মারধর, গ্রেফতার স্বামী
স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে আরামবাগের বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা মিঠু মালিক নামে ওই মহিলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগে মিঠুদেবী জানিয়েছেন, তাঁকে সন্দেহের বশেই স্বামী রবীন্দ্রনাথ মালিক তিন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। ওই রাতেই রবীন্দ্রনাথকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, বাকি তিন অভিযুক্ত পলাতক। শনিবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy