দিয়াড়ায় ছাত্রীকে মারধরে গ্রেফতার ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর
স্কুলে যাওয়ার পথে দিয়াড়ার সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীকে মারধর করে অজ্ঞান অবস্থায় কলাবাগানে ফেলে যাওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। বুধবার রাতে ভরত সাঁতরা এবং শান্তনু মালিক নামে দিয়াড়ারই বাসন্দা ওই দু’জনকে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের সঙ্গে কথা বলার পরে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, বুধবার সকালে দিয়াড়ার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়ার সময় ওই দু’জন তার পথ আগলে দাঁড়ায়। একই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া দুই কিশোরীর ব্যপারে নানা কথা জানতে চায় তারা। কিন্তু মেয়েটি তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে না চাওয়ায় তাকে ধাক্কা মেরে পাশের কলাবাগানে ফেলে পালায়। মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বেঁহুশ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে তার চিকিত্সা চলছে। ঘটনার পরে মেয়েটি অবশ্য জানিয়েছিল, ওই যুবকেরা তার মাথায় ভারি কিছু দিয়ে মারাতেই সে জ্ঞান হারায়। বুধবার আক্রান্ত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। নবম ও দশম শ্রেণির দুই কিশোরীর সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করেন। তার পরেই ওই দুই যুবকের খোঁজখবর শুরু করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ায় ভরত দিয়াড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে পালানোর চেষ্টা করেছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সিঙ্গুর থানার ওসি অমিত মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ট্রেনে উঠে তাকে ধরে। ওই কিশোরীদের স্কুলের কাছেই স্টেশনারী দোকান চালায় শান্তনু। ভরত কাঠ পালিশের কাজ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শান্তনুর দোকানে ছেলেদের আড্ডা বসে। সেখান থেকে স্কুলের মেয়েদের কটুক্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিকে মা-মেয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার
আর্থিক টানাটানি ছিল, ছিল সমাজের চোখ রাঙানি। সংসারের হাজারটা কাজের ঝক্কি তো থাকবেই। এত সব কিছু সামলে রক্ষণশীলতার গণ্ডী ভেঙে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন মা-মেয়ে। এ বছর একই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন মা সঞ্জিদা খাতুন এবং মেয়ে সুহানা পরভিন। দু’জনের সঙ্গে দেখা হল বুধবার পরীক্ষার হল থেকে বেরনোর পরে। তোলা ন’পাড়ার বাসিন্দা মা-মেয়ের পরীক্ষার সিট পড়েছে উস্তির উত্তর কুসুম হাইস্কুলে। মায়ের বয়স তেত্রিশে কাছাকাছি। মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পরে মনে মনে ঠিক করেছিলেন, আরও পড়বেন। মেয়েকে নিয়ে এক সঙ্গেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন নিজের লেখাপড়া। স্বামী গওসুল আনম হালদার কলকাতায় দর্জির কাজ করেন। অভাবী সংসারে একে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ টানতে নাকাল তিনি। তার উপরে স্ত্রীর পড়ার খরচ সামলানোর ঝক্কি সামলানো সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে! তা-ও পিছু হটেননি সঞ্জিদা। স্বামীর অনুমতি নিয়ে নেমে পড়েছিলেন লক্ষ্যে। সঞ্জিদার কথায়, “বেশ কষ্ট হত। ছেলে মালঞ্চ মিশনে ৮ ক্লাসের ছাত্র। মেয়ের স্কুল, সংসার। ভয় হত, কী ভাবে পারব। তবে এক দিন শুরু করেই দিলাম।” তাঁর বাবা ডায়মন্ড হারবারের মোহনপুরের বাসিন্দা। তিনি কিছুটা আর্থিক সাহায্য করেছেন মেয়ে ও নাতনির পড়াশোনায়।
পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
উদ্ধার হল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের হাজারহাত কালীতলায়। মৃত ছাত্রের নাম শৌভিক বসু (১৮)। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখা যায় তাকে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বুধবার পদার্থবিদ্যা পরীক্ষা খারাপ হওয়ার জন্যই শৌভিক আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ জানায়, তার ঘরে একটি চিঠি মিলেছে যাতে মৃত্যুর কারণ হিসাবে এ কথাই লেখা আছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
কোথায় কী
স্কুলের রজতজয়ন্তী
তিন দিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রজতজয়ন্তী বর্ষ পালিত হল পোলবার ওচাই বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনে। শুধু শিক্ষা নয়, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরচর্চা এবং সকলের সঙ্গে কী ভাবে মিলেমিশে থাকতে হয়, তা-ও শেখানো হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রেরা নাচ, গান, আবৃ্ত্তি-পরিবেশন করে।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
রবিবার ফুলেশ্বরের জগন্নাথপুরের ‘তুলি-কলম আর্ট অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি’র উদ্যোগে হাওড়া জেলা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনী হয়ে গেল। অঙ্কন প্রতিযোগিতায় দু’শোরও বেশি প্রতিযোগী যোগ দেয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে নাচ, গান এবং আবৃত্তির আসর ছিল উপভোগ্য। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্থার সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy