Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্ল্যাটের বাইরে বেরিয়ে চমকে উঠেছিলেন গৃহকর্ত্রী। চারতলা আবাসনের অন্য ফ্ল্যাট থেকে আসছে দরজা পেটানোর শব্দ। কিন্তু সব দরজাই বাইরে থেকে বন্ধ। কী হয়েছে বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন ওই মহিলা। পুলিশ এসে দেখে, চারতলার একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটের তালা ভাঙা। লোপাট হয়ে গিয়েছে মূল্যবান জিনিসপত্র। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সালকিয়ার বিবিবাগানে।

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৩
Share: Save:

হাওড়ায় ফাঁকা ফ্ল্যাটে চুরি টাকা-গয়না

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্ল্যাটের বাইরে বেরিয়ে চমকে উঠেছিলেন গৃহকর্ত্রী। চারতলা আবাসনের অন্য ফ্ল্যাট থেকে আসছে দরজা পেটানোর শব্দ। কিন্তু সব দরজাই বাইরে থেকে বন্ধ। কী হয়েছে বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন ওই মহিলা। পুলিশ এসে দেখে, চারতলার একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটের তালা ভাঙা। লোপাট হয়ে গিয়েছে মূল্যবান জিনিসপত্র। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সালকিয়ার বিবিবাগানে। পুলিশ জানায়, ওই আবাসনের চারতলায় স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকেন সুনীল সিংহ। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরিবার-সহ ঝাড়খণ্ড গিয়েছিলেন। ফেরার কথা ছিল আগামী রবিবার। পুলিশ জানায়, চুরির আগে দুষ্কৃতীরা একটি বাদে বাকি ফ্ল্যাটগুলির দরজা বন্ধ করে দেয়। যে ফ্ল্যাটটি বন্ধ করা যায়নি, তার গৃহকর্ত্রী মায়া জায়সবাল বলেন, “আমার দরজায় বাইরে থেকে ‘লক’ করার ব্যবস্থা নেই। সকালে দেখি সব ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। খুলে দেওয়ার জন্য ভিতর থেকে পেটানো হচ্ছে।” মায়াদেবী জানিয়েছেন, এর পরেই তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে সুনীলবাবুর ফ্ল্যাটের তালা ভাঙা। দু’টি আলমারি খোলা এবং লকার ভাঙা। খবর পেয়ে এ দিনই ফিরে আসেন সুনীলবাবু। তিনি জানিয়েছেন, চুরি গিয়েছে নগদ টাকা, লক্ষাধিক টাকার গয়না ও এলসিডি টিভি।

জলের দাবিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

জলের দাবিতে দু’ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলায়। পুলিশ জানায়, গত রবিবার থেকে পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের পাইপলাইনে মেরামতির কারণে জলসঙ্কট চলার পরে বুধবার সব জায়গায় জল এলেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশ নির্জলা ছিল বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা মধ্য হাওড়ার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা পঞ্চাননতলা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এর জেরে তীব্র যানজট হয় এলাকায়। পরে স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান গৌতম দত্ত শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে জল পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।

বিক্ষোভ শ্রীরামপুরে

ছাত্রীদের সঙ্গে দুই শিক্ষকের অভব্য আচরণের অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুরে ঠাকুরদাস বাবু লেনের কাছে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। যে ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সত্যি নয় বলে দাবি দুই অভিযুক্তের। পুলিশ ও স্কুল সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বেশ কিছু অভিভাবক স্কুলের সামনে জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরেই দুই শিক্ষক ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করছেন। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকার কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানা থেকে পুলিশ আসে। ওই দুই শিক্ষক মুচলেকা দেন। প্রধান শিক্ষিকা সান্ত্বনা মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

প্রার্থী বাছাই নিয়ে অশান্তি

আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ শুরু হয়েছে আরামবাগে। বৃহস্পতিবার সকালে ৭ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ’খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ দেখান প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় নেতা তথা আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর বাড়ির সামনে। দুই ওয়ার্ডের দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে বচসা এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা আব্দুস সেলিমের অভিযোগ, “দলের নির্দেশ ছিল বিধায়ক এবং পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে সমস্ত নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে প্রার্থী বাছাই করবেন। তা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররাই কাউকে মিটিংয়ে না ডেকে প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন। সেই তালিকা আমরা মানব না।” পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “প্রার্থী বাছাই নিয়ে কোনও অসন্তোষ থাকবে না। প্রতি ওয়ার্ডে গিয়ে বৈঠক করে সর্বসম্মতিক্রমে প্রার্থী ঠিক হবে।”

খড়ে আগুন

আগুন লেগে বৃহস্পতিবার সকালে জগৎবল্লভপুরের পাতিহালের রথতলা এলাকার এক বাসিন্দার খড়ের গাদা পুড়ে গেল। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় থানায় এবং দমকলে। আলমপুর ও হাওড়া থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাখনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে। তার আগেই ওই এলাকায় কয়েকটি কিশোর বাজি ফাটাচ্ছিল। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, বাজির আগুন ছিটকে এসে খড়ের গাদায় লাগে।

অন্য বিষয়গুলি:

hgly tukro brief story southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy