রেলে কাটা পড়ে মৃত ২, অবরোধ ত্রিবেণীতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ত্রিবেণী
ট্রেন লাইন ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই কিশোরের। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ত্রিবেণী রেলগেটের কাছে সরস্বতী সেতুতে। প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা রেল অবরোধ করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার ত্রিবেণীতে সরস্বতী সেতুর উপর রেল লাইন ধরে বছর ১২-র দুই কিশোর হেঁটে যাচ্ছিল। সেতুর মাঝ বরাবর পৌঁছে যাওয়ার পরে হঠাত্ই আপ কাটোয়া লোকাল এসে পড়ায় তারা সরতে পারেনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে দুই কিশোরের দেহ। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুর পাশে হাঁটার জন্য পৃথক সেতুর দাবিতে বিকাল চারটে থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা রেল অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, রেলকর্তাদের কাছ থেকে সেতু নির্মাণের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ তোলা হবে না। খবর পেয়ে মগরা থানা এবং রেল পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু বাসিন্দারা তাঁদের দাবিতে অনড় থেকে অবরোধ চালিয়ে যেতে থাকেন। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে ত্রিবেণী স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে দাবি পূরণের আশ্বাস পেলে অবরোধ তুলে নেয় জনতা। এদিন রাত পর্যন্ত মৃত দুই কিশোরের পরিচয় জানা যায়নি। রেল পুলিশ মৃতদেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, রেল লাইন ধরে হাঁটা আইনত অপরাধ। যে কোন সময় বিপদ ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে।
জল বন্ধ, নাকাল হাওড়াবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
পাইপলাইনে মেরামতির জন্য রবিবার দুপুর থেকে কার্যত নির্জলা রইল হাওড়া শহর। এ দিন পদ্মপুকুর জলপ্রকল্প থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রবল জলকষ্টের শিকার হলেন হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, বটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে গঙ্গা থেকে জল তোলার পাইপ মেরামতির কারণে পদ্মপুকুর জলপ্রকল্প বন্ধ রাখতে হয়। সকালে জল সরবরাহ চালু থাকলেও দুপুর ও রাতে সরবরাহ বন্ধ ছিল। হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল) অরুণ রায়চৌধুরী বলেন, “বটানিক্যাল গার্ডেনে ইনটেক পয়েন্টের নকশায় ভুল থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে পরিস্রুত জল উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। পাইপলাইন মেরামতির কারণে সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়।” পুরসভা সূত্রে খবর, জল সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছু দিন সময় লাগবে।
প্রৌঢ়ের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফলতা
গাছে উঠে ডাল কাটার সময়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফলতার রুখিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নুরহোসেন হাসান (৫৩)। বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের সিংবেড়িয়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সজনে ডাঁটা ব্যবসায়ী নুরহোসেন লিজ নেওয়া গাছে ডাঁটা পাড়তে ওঠেন। ওই গাছের নীচ দিয়েই গিয়েছে হাইটেনশন তার। ডালের কিছুটা অংশ ঝুলে গিয়ে বিদ্যুত্ লাইনের তারে ঠেকে যায়। গাছেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ওই প্রৌঢ়।
রাজ্য সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ ভেটেরিনারি চিকিত্সক সংগঠনের প্রথম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল রবিবার বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভেটেরিনারি কাউন্সিলের প্রেক্ষাগৃহে। সম্মেলনে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে চারশোরও বেশি চিকিত্সক হাজির ছিলেন। সম্মেলনে পেশাগত উন্নতি ও গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সার্থক রূপায়ণের উপর জোর দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুবল পাত্র।
ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন
সরকারি ভাবে এখনও হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুরসভার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়নি। দলের তরফেও কে কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী হবেন ঘোষণা হয়নি তাও। অথচ ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। কেন এমন ঘটল? দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর বাবলু পণ্ডিত অবশ্য বলেন, “আমি কর্মীদের দেওয়াল চুন করে পদ্মফুল আঁকার কথা বলেছিলাম।
কিন্তু তারা আমার স্ত্রীর নাম প্রার্থী হিসাবে লিখে ফেলেছেন।” প্রসঙ্গত, এ বার ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় সেখানে আর দাঁড়াতে পারবেন না বাবলুবাবু। দলের একাংশের বক্তব্য, যেহেতু নিজে দাঁড়াতে পারবেন না, তাই স্ত্রীর নামেই দেওয়াল লিখেছেন তিনি। দলের হাওড়া জেলা গ্রামীণ সভাপতি গৌতম রায় বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। বাবলু পণ্ডিতকে দেওয়াল মুছে দিতে বলেছি। যতদিন না প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়, ততদিন প্রার্থীর নাম লেখা যাবে না।”
তথ্য ও ছবি: সুব্রত জানা।
মুখ ঢেকেছে বেলুনে।—নিজস্ব চিত্র।
নারী দিবসে নয়। আলুর মরসুমে আরামবাগে পরিচিত ছবি। ছবি: মোহন দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy