Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

জোড়া গেরোয় বুধবার সকালে হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে প্রায় তিন ঘণ্টা থমকে গেল ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রের খবর, হাওড়া কারশেডে ওভারহেডে বিদ্যুত্‌ সরবরাহ ব্যাহত হওয়া এবং বর্ধমান কারশেডের কাছে ওভারহেডে গাছ পড়ায় বুধবার সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা মেন ও কর্ড শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে।

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ০১:০৪
Share: Save:

বিদ্যুত্‌ না থাকায় ট্রেনে বিঘ্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া

জোড়া গেরোয় বুধবার সকালে হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে প্রায় তিন ঘণ্টা থমকে গেল ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রের খবর, হাওড়া কারশেডে ওভারহেডে বিদ্যুত্‌ সরবরাহ ব্যাহত হওয়া এবং বর্ধমান কারশেডের কাছে ওভারহেডে গাছ পড়ায় বুধবার সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা মেন ও কর্ড শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে থাকায় যাত্রীদের চুড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই ঘটনায় বেশ কিছু দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন দেরিতে চলাচল করেছে। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, প্রথম ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে হাওড়া কারশেডে। আচমকা ওভারহেডে বিদ্যুত্‌ সংযোগ চলে যাওয়ায় হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বর্ধমান কারশেডের কাছে একটি গাছ ভেঙে ওভারহেড তারে পড়লে সেখানেও বিদ্যুত্‌ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে দু’টি ঘটনার জেরে মেন ও কর্ড দুই শাখাতেই ট্রেন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করেন। এদিন, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকায় অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সাড়ে ৯টার পরে বিদ্যুত্‌ এলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে বেলা ১০টা বেজে যায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক যাত্রীই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাওয়ায় সড়ক পথে রওনা দেন। অনেকে আবার দেরি হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে যান। চুঁচুড়ার বাসিন্দা অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ স্টেশনে গিয়ে ট্রেন না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসি।” একই কথা জানিয়েছেন, শ্যাওড়াফুলির বাসিন্দা অলোক জানা। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘ভাগ্যিস মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল না। না হলে পরীক্ষার্থীদের অনেকেই হয়তো পরীক্ষাই দিতে পারতেন না’।

ফরাসি ঐতিহ্য রক্ষায় ডিজিটাল ফটোগ্রাফি

নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর

ডিজিটাল ফটোগ্রাফির মাধ্যমে চন্দননগরের ফরাসি আমলের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হল বিশ্ব হেরিটেজ সংস্থা। বুধবার এখানকার ফ্রেঞ্চ মিউজিয়াম পরিদর্শনে এসে সংস্থার প্রেসিডেন্ট ফিলিপ টুস্যা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এক সময়ে ফরাসি উপনিবেশ ছিল চন্দননগর। ইতিহাস গবেষকদের মতে, ১৭৩০ থেকে ১৭৫১ সালের গোড়ার দিক পর্যন্ত সম্পদের দিক থেকে চন্দননগর কলকাতার সমতুল ছিল। সেই সময়ের বহু নিদর্শন এবং স্থাপত্য ছড়িয়ে রয়েছে গঙ্গাপাড়ের এই শহরে। এ দিন টুস্যার নেতৃত্বে বিশ্ব হেরিটেজ সংস্থার চার সদস্যের প্রতিনিধি দল চন্দননগরে আসে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ফ্রেঞ্চ মিউজিয়াম ঘুরে দেখে তারা। ওই ভবন এখানকার তত্‌কালীন ফরাসি গভর্নর ডুপ্লের বাসভবন ছিল। ডুপ্লের ব্যবহৃত খাট, টেবিল-চেয়ার সহ বিভিন্ন জিনিস দেখে মুগ্ধ হন টুস্যা। পুরনো ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ফরাসি ভাষা প্রসারের জন্য মিউজিয়ামের কর্তাদের সাথে আলোচনা করেন তিনি। টুস্যা বলেন, “শহর জুড়ে ফরাসি ঐতিহ্যকে সংরক্ষন করার চেষ্টা করব আমরা। চন্দননগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফরাসি ভাষা প্রসারের ক্ষেত্রে ফ্রেঞ্চ ইনিস্টিটিউট বা স্কুল-কলেজগুলি যে ভূমিকা নিয়েছে, তা আরও ছড়িয়ে দিতে হবে।’’ ফ্রেঞ্চ মিউজিয়ামের কিউরেটর অরূপ গঙ্গ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী জুলাই মাস থেকে ডিজিটাল ফটোগ্রাফির কাজ শুরু হবে। শহরের সমস্ত ফরাসি নিদর্শনের ছবি প্রদর্শিত হবে।”

নদীর পাড়ে যুবকের দেহ

নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর

হাত বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হল নদীর ধার থেকে। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার জয়পুর থানার উত্তর ভাটোরায় রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর সংযোগস্থলের কাছে নদীর ধারে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান বছর পঁয়তিরিশের ওই যুবককে খুন করে এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের দু’টি হাতই কনুই পর্যন্ত প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। তাঁর পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কোথায় কী

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান উত্তরপাড়ায়

সঙ্গীত সুন্দর শিক্ষানিকেতনের বাত্‌সরিক উত্‌সব উপলক্ষে সম্প্রতি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর বসল উত্তরপাড়ায়। সংস্থার শিক্ষার্থীরাই সঙ্গীত পরিবেশন করেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কিরণকুমার মিত্র জানান, অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক পর্বে দশ বছর বয়সী শ্রীজিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইমন’ রাগে পূর্ণাঙ্গ খেয়াল পরিবেশন করে। এর পরে সন্দীপ পাল রূপক তালে ‘শুদ্ধকল্যাণ’ রাগ পরিবেশন করে। বাঁশিতে ‘পুরিয়া’ রাগ পরিবেশন করেন দিনেশ রায়। ‘কৌশিক কানাড়া’ রাগে কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করেন পার্থ ভট্টাচার্য। তবলায় ছিলেন কমল দে, অপূর্ব সরকার, অমল চট্টোপাধ্যায় এবং মৃণাল ভট্টাচার্য। হারমোনিয়ামে সঙ্গত করেন হারাধন অধিকারী।

প্রভাত ফেরি

বুধবার বসন্ত উত্‌সব উপলক্ষে চন্দননগরের নাড়ুয়া পঞ্চাননতলা থেকে প্রভাত ফেরি বের হবে। পরে থাকছে নাচ, গান, আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক। উদ্যোক্তা— নাড়ুয়া বোসপাড়া সংস্থা।

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy