ধৃত বিজেপি নেতা নিমাই রায় ওরফে নাদু। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার সাঁকরাইলে বিজেপি নেতা-সহ তিন জনের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল এনডিপিএস আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে এসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তার তদন্তে পুলিশের একটি দল পড়শি রাজ্যে যাওয়ার কথাও ভেবেছে বলে দাবি ওই সূত্রের।
শনিবার সাঁকরাইলের নবঘরা সর্দার পাড়ার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা রূপা রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী নিমাই রায় গাঁজার কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। নিমাইও কিসান মোর্চার নেতা। তাঁকে ও তাঁর দুই সাগরেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে গত বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এমনকি, ধৃতের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রমুখের ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
রবিবার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী-সহ মোট তিন জনকে হাওড়া আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের এক দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। গাঁজা পাচারের অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতার হতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। তার মধ্যে নিমাইয়ের প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি, তিনি গাঁজার ব্যবসাই করেন এবং তৃণমূল নয়, তাঁর দলের লোকেরা তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন গাঁজা নিয়ে ব্যবসা করি। এটা আমার পারিবারিক ব্যবসা। আগে বাবাও এই ব্যবসা করতেন।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার কোন জায়গা থেকে গাঁজা নিয়ে আসা হত, কারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। চক্রের জাল গোটাতে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy