গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টোটন বিশ্বাসকে। — নিজস্ব চিত্র।
তাঁকে গুলি করার বদলা নেবেন। বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফুঁসে উঠলেন বিচারাধীন বন্দি টোটন বিশ্বাস। মাদক মামলায় অভিযুক্ত তিনি। শনিবার তাঁকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখানে রোগী সেজে ছিলেন টোটনের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। তাঁরা টোটনকে লক্ষ্য করে গুলি করেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।তদন্তকারীদের ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই গুলি চালানো হয় টোটনকে। হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, টোটনের বুকের পাশে গুলি লেগেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁকে নিশানা করে গুলি করার পর প্রাণভয়ে টোটন দৌড়ে গিয়ে ওঠেন প্রিজন ভ্যানে। গুলি চালানোর জেরে হাসপাতালে ভয়ের আবহ তৈরি হয়। সেই সুযোগ নিয়ে হামলাকারীরা চম্পট দেয়। এর পর প্রিজন ভ্যান থেকে টোটনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তড়িঘড়ি তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে স্ট্রেচারে শুয়ে টোটন সরাসরি অভিযোগ করেন, ‘‘বাবু পাল গুলি করেছে। ও ছেলে পাঠিয়েছে। আমি এর বদলা নেবই। আমি কিছুই করিনি।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বছর বিয়াল্লিশের দুষ্কৃতী টোটনের এক সময়কার সহযোগী ছিলেন বাবু। পরে টোটনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর পর নতুন দল গড়েন বাবু। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রেষারেষির সম্পর্ক থেকেই এই হামলা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে গোটা পরিস্থিতি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
ওই হাসপাতালের সুপার পার্থ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘যিনি আক্রান্ত হন, তাঁর বুকের পাশে গুলি লেগেছিল। অস্ত্রোপচার করে একটি গুলি বার করা হয়েছে। ওঁর শারীরিক অবস্থা অতটা ভাল ছিল না। সেই জন্য ওঁকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে ওঁর প্রাণ সংশয় নেই। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে এই ঘটনা খুবই আমাদের কর্মী এবং রোগীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদের কথা। তবে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy