ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়ে ‘অনাবাসী (এনআরআই) কোটা’য় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর অভিযোগের তদন্তে রাজ্যের দুই প্রান্তে অভিযান চালাল ইডি। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তদন্তে যান ইডির আধিকারিকেরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও এ দিন অভিযান হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বরে এই মামলায় রাজ্যের ২০ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তদন্তে শিলিগুড়ির ওই ওষুধ ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে। ওই ব্যবসায়ীর একাধিক ভাই রয়েছেন। একাধিক ওষুধের দোকান ও চিকিৎসার সরঞ্জামের দোকান রয়েছে তাঁদের। শংসাপত্র তৈরি বা ‘কোটা’য় ভর্তির ক্ষেত্রে ওই পরিবারের এক জনের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে ইডি আধিকারিকেরা আধাসামরিক বাহিনী নিয়ে শিলিগুড়ি শহরের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি যান। বাড়ি ঘিরে কয়েক ঘণ্টা চলে তল্লাশি। শিলিগুড়ি থানার পুলিশও পৌঁছয়। বিকেল ৪টে নাগাদ ইডির চার আধিকারিক বাড়িটি থেকে বেরোন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলেননি। ওষুধ ব্যবসায়ী ও তাঁর বাড়ির লোকও কথা বলতে চাননি। তবে সূত্রের দাবি, তদন্তকারীরা কিছু নথি দেখেন। জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একাধিক পড়শি বলেন, “ওঁরা পুরনো বাসিন্দা। ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা নেই।”
কাকদ্বীপে যে ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চলে, তিনি মারা গিয়েছেন। একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়া তাঁর মেয়ে। প্রায় আট ঘণ্টা সেখানে ছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। সে সময় ব্যবসায়ীর মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও শ্যালক ছিলেন। ব্যবসায়ীর এক আত্মীয়ের দাবি, “নোটিস ছাড়া ইডি আধিকারিকেরা এসেছিলেন। নথিপত্র দেখেছেন। মেডিক্যাল কলেজের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখেছেন।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)