ফাইল চিত্র
বাংলাদেশে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা। ‘বাংলাদেশের জনসাধারণ ও সরকারের কাছে একটি আবেদন’ শীর্ষক এক খোলা চিঠি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে পবিত্র সরকার, দেবশঙ্কর হালদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, নবকুমার বসু, মোহন সিংহ খাঙ্গুরা, সৌমিত্র মিত্রদের।
চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সরকার ও পুলিশের তৎপরতায় বড় রকমের বিপর্যয় হয়তো এড়ানো গিয়েছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদার অসাম্প্রদায়িকতা আর মুক্তিযুদ্ধের আলোকিত চেতনা— যে চেতনাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর বলে বিশ্বাস করি— সেই চেতনার বিরোধী এই সব অশুভ উদ্যোগ উপমহাদেশের সচেতন ও অখণ্ড মানবতায় বিশ্বাসী মানুষদের বিশেষ ভাবে বিচলিত করেছে।’ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘ভারতেও ধর্মীয় মৌলবাদের নানামুখী হিংস্রতার অস্তিত্ব সম্বন্ধে আমরা সচেতন এবং বাংলাদেশের মতো এখানেও সংখ্যাগুরু বুদ্ধিজীবী-সহ অন্যান্যদের জাগ্রত জনমত ওই সব অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে আদর্শগত সংগ্রাম করে চলেছে।’
ওই খোলা চিঠিতে আগাগোড়াই মৌলবাদের প্রতিবাদ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘নীতিগত ভাবে সংখ্যালঘুর ধর্ম, সম্পত্তি, অধিকার, জীবন ইত্যাদি রক্ষার দায় সংখ্যাগুরুর হাতে।’ বলা হয়েছে, সম্প্রীতি রক্ষার দায় মানুষেরও। নিশ্চিহ্ন না হওয়া ‘বিপজ্জনক গোষ্ঠীগুলি’-কে সরকারকে চিহ্নিত করার কথা বলেছেন তাঁরা। প্রতিবেশী দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্বজ্জনদের আবেদন, ‘বাংলাদেশের সংবেদনশীল মানুষ ও তার সচেতন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, এই সব দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জাতির জনকের উদার বিশ্বাস আর বর্তমান সরকারের নীতির বিরোধী, বিদ্বেষমূলক ও প্ররোচনামূলক শক্তিগুলিকে সত্বর চিহ্নিত করুন এবং তাদের নিষ্ক্রিয় করুন। যারা এ বার দুর্গাপূজায় উপদ্রব করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন, যাতে এই অপশক্তিরা বোঝে যে অন্যের ধর্মের ক্ষতি করে নিজের ধর্মের মহিমা প্রতিষ্ঠা করা যায় না, রাষ্ট্রও সে অপরাধ ক্ষমা করে না।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy