আবার পথে নামার প্রস্তুতি। — ফাইল চিত্র।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নবান্ন অভিযান কর্মসূচিকে সফল বলেই মনে করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রশংসাও পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। সঙ্গে নিয়মিত পথে থাকার রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও এসেছে। আর তা মেনেই দীপাবলির পরে ফের পথে নামার পরিকল্পনা রাজ্য বিজেপির। তবে এ বার আর এক দিনের অভিযান নয়, বিজেপির পরিকল্পনা, দিন চারেক ধরে চলবে কর্মসূচি। সিঙ্গুর থেকে নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত হবে রিলে মিছিল। এখনও কর্মসূচির নাম ঠিক হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থানে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এই কর্মসূচিকে ‘যাত্রা’র রূপ দিতে চায় পদ্ম-বাহিনী।
নবান্ন অভিযান কর্মসূচির পরেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ঘোষণা করেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি আরও কিছু আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে দলের। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যেই রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করেন নতুন ধরনের কোনও কর্মসূচি নিতে হবে। কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতেই যে আন্দোলনে নামা হবে সেটাও ঠিক হয়। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখেই আপাতত আন্দোলনে শান দিতে চায় বিজেপি। কারণ, এই বিষয়টার সঙ্গে বহু মানুষ যুক্ত এবং এর অভিঘাতও বেশি। সেই সঙ্গে রাজ্যে কর্মসংস্থান হচ্ছে না বলেও বিজেপি যে অভিযোগ তোলে, তাতে জোর দিতেই কর্মসূচির পরিকল্পনা হয়েছে। পুজোর মধ্যেই কলকাতায় এসেছিলেন রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। অন্য রাজ্য নেতারা নিজের নিজের এলাকায় থাকলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ নিয়ে বৈঠকও হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত বলেন, ‘‘বড় মাপের কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটা ঠিক যে, এ বার শুধু কলকাতায় নয়, অনেক বেশি জায়গা জুড়ে চলবে আন্দোলন।’’
সুকান্ত সবিস্তারে না জানাতে চাইলেও বিজেপি সূত্রে খবর, সিঙ্গুরের যেই জমিতে টাটার ন্যানো গাড়ির কারখানা হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে শুরু হবে মিছিল। এর পরে বিভিন্ন শহর হয়ে মিছিল আসবে নিউটাউনে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে চার দিন ধরে মিছিল সিঙ্গুর থেকে সিলিকন ভ্যালি যাবে। হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, বিধাননগর হয়ে যাবে নিউটাউন। প্রতি দিন দুপুরে ও রাতে কোনও না কোনও জায়গায় হবে সমাবেশ। একেবারে শেষে বড় জমায়েত হবে নিউটাউনে। আরও ঠিক হয়েছে যে, এই যাত্রা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে যুব মোর্চাকে। তবে মূল দলও অংশ নেবে। যাত্রার মুখ হিসাবে সুকান্ত ছাড়া থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও।
কবে কোন শহরে মিছিল যাবে এবং কোথায় কোথায় সভা হবে সব ঠিক করবে যুব মোর্চা। টানা মিছিলে থাকবেন রাজ্য স্তরের নেতা এবং সাংসদ, বিধায়করা। দক্ষিণবঙ্গে সব জেলা থেকেই কর্মী এনে যাত্রাকে বড় আকার দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কর্মসূচি শুরু ও শেষের কেন্দ্র হিসাবে সিঙ্গুর ও সিলিকন ভ্যালিকে কেন বাছা হল? যুব মোর্চার রাজ্য স্তরের এক নেতা বলেন, ‘‘সিঙ্গুরে শিল্প হয়নি। কৃষিও হচ্ছে না। আর নামে ‘সিলিকন ভ্যালি’ এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষিত যুবকদের ঘুগনি বিক্রি করতে বলছেন। বাংলার ছেলেমেয়েরা এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক। চাকরি বিক্রি হওয়া রাজ্যে শিক্ষিত যুবকরাও হতাশায় ভিন্রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। এমনই এক পরিস্থিতিতে এই কর্মসূচি। তার জন্য বাংলার স্বপ্নভঙ্গের দুই ভূমি সিঙ্গুর ও সিলিকন ভ্যালিকে বাছা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy