বিজেপি নেতাকে ‘পিটিয়ে খুন’। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
বিরোধী দলনেতার নিজের জেলাতেই বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি নেতার নাম চন্দন মাইতি ওরফে শম্ভু। ভাইফোঁটার দিন রাত ৮টা নাগাদ তাঁকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাস্তার ধারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। প্রথমে ভগবানপুর হাসপাতালে ও পরে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শম্ভুকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শম্ভুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ না ব্যক্তিগত শত্রুতা— খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রং লেগেছে। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই ওই নেতা তৃণমূলের নিশানায় ছিলেন বলে অভিযোগ। এ বারের ভোটে ভগবানপুর আসনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী। সেই ক্ষোভ থেকেই খুন বলে দাবি বিজেপি-র। স্থানীয় বিজেপি নেতা নবারুণের অভিযোগ, ‘‘চন্দন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। তাই তাঁকে ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে তৃণমূল।’’
যদিও বিজেপি-র অভিযোগে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের দাবি, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এলাকা দখল ঘিরে বিজেপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব চলছে। এটা তারই ফল। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy