পঞ্চায়েত নির্বাচন কি আদৌ নির্বিঘ্নে হবে? একই দিনে গোটা রাজ্যে নির্বাচন হলে সুষ্ঠু ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে কি? মনোনয়নপর্বে যে ভাবে শাসক দলের সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিরোধীদের, সেখানে কতটা স্বাধীন ভাবে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।
যাবতীয় অনিশ্চয়তার শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে নিয়ে এক দফাতেই, আগামী ১৪ মে ভোট হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ভোটগণনার দিন ধার্য করা হয় আগামী ১৭ মে। এর মাঝে প্রয়োজনে পুনর্নির্বাচন হবে ১৬ মে। তবে এক দফায় রাজ্য জুড়ে ৫৮,৪৬৭টি বুথে ভোট হলে কী ভাবে ভোটারদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে তা নিয়েও সন্দিহান বিরোধী দলের নেতারা।
এক দফায় ভোট হলে ওই সংখ্যক বুথে প্রথা ভেঙে মাত্র এক জন করেই পুলিশকর্মী মোতায়েন করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে সিভিক পুলিশ দিয়েও নিরাপত্তার কাজ সামলানোর কথা ভাবতে পারে কমিশন। যদিও ভোটের আদর্শ বিধি অনুযায়ী, ভোটের সময় কোনও বুথে এক জন সশস্ত্র পুলিশ রাখা যাবে না। অন্তত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ রাখতেই হবে। তবে তা কতটা মেনে চলা সম্ভব হবে, তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে কি পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে বিরোধীরা? এ দিন তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, “সংবিধান উপেক্ষা করছে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টাই আদালতের নজরে আনা হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন: “এক দিনে ভোট হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া কী ভাবে সম্ভব?”
এর আগে মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। বিরোধী প্রার্থী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের উপরেও চড়াও হয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তারা শাসক দলের কর্মী-সমর্থক বা শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই ২৭ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে নিয়েছে শাসক দল। এর পর এক দফায় নামমাত্র নিরাপত্তায় কী ভাবে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যদিও এ দিন কমিশন জানিয়েছে, রমজান এবং বর্ষার মরসুমের কথা মাথায় রেখেই এক দিনে ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কমিশনের এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, “তৃণমূল অনেক জায়গায় জিতেই গিয়েছে। আর যে ক’টা আসন বাকি আছে, তা-ও জিতে যাবে। এ ভাবে একটা পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হবে যেখানে কোনও বিরোধী দল থাকবে না। বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত তৈরি করার পদ্ধতিতে এগিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমন ঘটনা ভারতের কোনও রাজ্যে কখনও হয়নি।” বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এক দিনে ভোট মানে সন্ত্রাসের ছক কষা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy