যাদবপুরে উপাচার্যকে ঘেরাও করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। আর পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডব্লিউবিইউটি) উপাচার্য রঞ্জন ভট্টাচার্যকে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজের এক দল প্রাক্তন শিক্ষক। তাঁদের ঘেরাও চাকরিতে পুনর্নিয়োগের দাবিতে। চলছে শিক্ষকদের অনশনও। দাবি পূরণ না-হলে তাঁদের ঘেরাও-আন্দোলন ও অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা।
আন্দোলনকারীরা এ দিন সন্ধ্যায় উপাচার্য রঞ্জনবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাঁদের জানান, ২২ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার আগে কিছু করা সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষের তরফে অনশন তুলে নেওয়ারও আবেদন জানানো হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অত দিন অপেক্ষা করতে রাজি নন। অনশনও তোলা হয়নি। চলে ঘেরাও।
২২ তারিখ মানে তো এখনও পাঁচ-ছ’দিন। ইসি-র বৈঠক দ্রুত ডাকার ব্যবস্থা হচ্ছে না কেন?
উপাচার্য বলেন, “সব সদস্যকেই বৈঠকের কথা জানাতে হবে। তাঁদের সকলকে হাজির করতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। তাই ২২ জানুয়ারি বৈঠক হবে বলে স্থির হয়েছে।”
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ছুটির দিনেও ক্লাস নিতে বাধ্য করানো, আগাম নোটিস ছাড়া চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার মতো বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকে ডব্লিউবিইউটি-র ক্যাম্পাসে অবস্থানে বসেন ৫০ জন শিক্ষক। ওই দিন বিকেলে অনশন শুরু করেন পাঁচ জন। তাঁদের অভিযোগ, মোট ৯২ জনকে অন্যায় ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ জানান, বেসরকারি কলেজে কারও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার এক্তিয়ার তাঁদের নেই। তবে অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ইসি-র বৈঠক বসবে। কলেজ-কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, গত অগস্টে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে এখন আর মাথা ঘামাতে রাজি নন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy