—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রানিগঞ্জ: আজ, বুধবার কলকাতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় দলের নেতা, কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল-সহ তিনটি জায়গা থেকে বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিষয়টি সামনে আসার পরেই, তৃণমূলের কটাক্ষ, তাদের কর্মসূচির জন্য আগাম ট্রেন ভাড়া করা হলেও, তা বাতিল করা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনায় রেলের ‘দ্বিচারিতা’ স্পষ্ট বলে অভিযোগ করেছে তারা। বিজেপি এ সবে আমল দেয়নি। প্রতিক্রিয়া মেলেনি রেলেরও।
বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পশ্চিম বর্ধমান থেকে আমাদের সাত হাজার কর্মী-সমর্থক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেতৃত্বে হওয়া দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাবেন। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, পূর্ব রেলের মালদহ থেকে শিয়ালদহ, বীরভূমের মুরারই ও আসানসোল থেকে একটি করে বিশেষ ট্রেন হাওড়া যাবে। সব ক’টিই একটি রাজনৈতির দল ভাড়া নিয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার সকাল ৬টা ১৫-য় আসানসোল থেকে ট্রেনটি ছাড়়বে। রানিগঞ্জ, অন্ডাল, দুর্গাপুরে সেটি থামবে।
বিষয়টি সামনে আসার পরেই, তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী টেনে আনছেন তাঁদের দলের একশো দিনের টাকা আদায়ে দিল্লিতে হওয়া কর্মসূচির কথা। তাঁর কথায়, “গরিব মানুষের টাকা চেয়ে দিল্লি যাওয়ার জন্য আমরা ট্রেন ভাড়া করেছিলাম। রেল তা বাতিল করে দিয়েছিল। আর এখন, কলকাতা যেতেও ট্রেন দিচ্ছে রেল। বিজেপির সরকার পরিচালিত রেলের পক্ষেই এমন দ্বিচারিতা সম্ভব।”
যদিও, এই বক্তব্যে আমল দিচ্ছেন না বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁর কথায়, “এই রাজ্যে শাসক দলের নেতাদের দ্বিচারিতার কথা না বলাই ভাল। এখানে প্রতিনিয়ত কর্মসূচি ও সভা করার জন্য আমাদের আদালতে যেতে হয়। আর তৃণমূলের কর্মসূচির জন্য পুলিশ-প্রশাসন গালিচা পেতে রাখে।”
নিজস্ব সংবাদদাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy