এ বার কালনা শহরে মিলল ভুয়ো চিকিৎসকের সন্ধান। শহরের বৈদ্যপুর এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই চেম্বার রয়েছে ‘দন্ত চিকিৎসক’ মাহমুদ হাসানের। তবে এ দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি মেনে নেন, দাঁতের চিকিৎসার প্রথাগত ডিগ্রি নেই তাঁরা। কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে। ওই ব্যক্তির নথিপত্র পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাহমুদ হাসানের বাড়ি মেমারির সাতগাছিয়া এলাকায়। তিনি যে প্যাড ব্যবহার করে রোগী দেখেন তাতে লেখা রয়েছে ‘বিডিএসটি’, ‘সিডিটি’-সহ নানা ডিগ্রি। এমনকী, নিজের নামের পাশে ‘ডক্টর’ শব্দটিও লেখেন তিনি। যদিও বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ভোকেশনাল ডেন্টাল ট্রেনিং নামে একটি কোর্স করেছেন তিনি। কিন্তু নিয়ম অনুয়ায়ী দাঁত সংক্রান্ত কোনও অস্ত্রোপচার করার কথা নয় তাঁর। তাহলে ‘ডক্টর’ লেখেন কেন? মাহমুদের জবাব, ‘‘ডাক্তার না লিখলে কী রোগী আসে?’’
পরপর তিন দিনে চার ভুয়ো ়ডাক্তারের খোঁজ মিলল কালনা, কাটোয়ায়। বর্ধমানেও ১৪ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিআইডি-র কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরেরও। এ দিন কালনা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘আমাদের তরফেও নজরদারি চলছে। সাধারণ মানুষকে বলছি, এ ধরনের কিছু দেখলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান।’’
কাটোয়াতেও মঙ্গলবার আয়ুর্বেদিক ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করা ‘ডাক্তার’কে চিনে ফেলেছিলেন এক রোগী। খবর প্রকাশ্যে আসতে তড়িঘড়ি চেম্বারের ঝাঁপও বন্ধ করে দিয়েছিলেন লেনিন সরণির সত্যবান মণ্ডল। সাইনবোর্ডে নামের পাশে নিজেকে আলুমপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বলেও দাবি করছিলেন তিনি। যদিও আলমপুরে যে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রই নেই তা জানিয়েছিলেন জেলা মু্খ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকই। সত্যবানের প্রেসক্রিপশনে যে এমবিবিএস (ডিপ্লোমা) লেখা ছিল, সেই ডিগ্রিও যে হয় না তা জানান স্বাস্থ্যকর্তারা। পরে বুধবার সমস্ত নথি নিয়ে সত্যবানকে দেখা করার জন্য নোটিস পাঠান অতিিরক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বৃহস্পতিবার দুই আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে যান সত্যবান। জানা গিয়েছে, এমবিবিএস-এর নথি দেখাতে পারেননি তিনি। তবে কোন কলেজ থেকে আয়ুর্বেদ পাশ করেছেন তা জানিয়েছেন। কলকাতার ওই কলেজে খোঁজ করা হবে বলেও প্রশাসনের দাবি। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা কবিতা শাসমল বলেন, ‘‘উনি সমস্ত নথি দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। নথিগুলো খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy