নাগরিক সম্মেলন। —নিজস্ব চিত্র।
শহরে পা দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে ‘কাজের কাজ’ কিছুই হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরে রবিবার পুরসভার নাগরিক সম্মেলনে সেই ‘বকুনি’র সূত্র ধরেই পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তারা সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ক্ষোভ-দাবির কথা শুনলেন।
এ দিন শহরের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে সভার শুরুতেই জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, ‘‘শুক্রবার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি ও পুরপ্রধান খুব বকুনি খেয়েছি। তিনি যে ভাবে বর্ধমান শহরকে সাজিয়ে তুলতে চাইছেন, সে ভাবেই সাজিয়ে তুলতে হবে।’’ মঞ্চে তখন রয়েছেন পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত, ডেপুটি সপার অমিতাভ সাহা প্রমুখ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে শহরের বাসিন্দারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্তাদের কাছে সরব হন। প্রবীণ বাসিন্দা অসিতকুমার দাস-সহ কয়েক জন দক্ষিণ দামোদরের বাস শহরের ভিতরে ঢোকানোর দাবি করেছিলেন। কিন্তু নাগরিকদের একটা বড় অংশ তাতে সায় দিতে নারাজ। বিধায়ক, পুলিশ সুপার যদিও জানান, শহরের যানজট কমাতে নাগরিকদের সঙ্গেই আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশ সুপার দাবি করেন, ওই বাস শহরে ঢুকছে না বলে অন্তত ১৩ জনের জীবন বেঁচেছে। পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তকুমার পাঁজা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মী তুষারকান্তি ঘোষেরা শহরে পরিস্রুত পানীয় জলের অভাব বলে সরব হন। ন’নম্বর ওয়ার্ডের বনবিহারী মণ্ডল নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য কাউন্সিলরদের পদক্ষেপ করার দাবি জানান। রসিকপুরের টুনটুনি লায়েক, বর্ধমান পৌর নাগরিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায়েরা আবার জলাশয় ভরাট রুখতে পুরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ করেন। নাগরিকদের দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘অন্যায় কাজ দেখলে তা প্রশাসনের নজরে আনার পাশাপাশি নিজেরাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করুন। প্রশাসন পাশে থাকবে।’’ এ ছাড়াও আলমগঞ্জ, ওলাইচণ্ডীতলার বেহাল রাস্তা, ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভার ভূমিকা, টাউন সার্ভিস বাস চালানো, শ্মশানে পরিবেশ দূষণ-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সরব হন নাগরিকেরা।
জবাবি ভাষণে পুরপ্রধান স্বরূপবাবু বলেন, “দূষিত জলের অভিযোগ মানছি না। পরীক্ষা করে দেখেছি, পানীয় জল পরিশুদ্ধ।” পুরপিতা পরিষদের সদস্য খোকন দাস, অরূপ দাসেরা জানান, নাগরিদের প্রস্তাব পুরবোর্ডে ও প্রশাসনের বৈঠকে আলোচনা করা হবে। এ দিন রবিরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘শহরের মধ্যে থাকা কাঞ্চননগর-রথতলা উন্নয়নের জন্য বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি (বিডিএ) থেকে সাহায্য করা হয় বলে অপপ্রচার রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy