বর্ধমান স্টেশন উধাও করোনা-বিধি। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পরে বর্ধমান-হাওড়া মেন ও কর্ড শাখায় লোকাল চালু হয়েছে বুধবার। প্রথম দিন কিছুটা হলেও পুলিশ-প্রশাসন-রেলের আয়ত্তে ছিল ভিড়। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা গেল, সর্বত্র কোভিড-বিধি উধাও। বেলাগাম ভিড় ট্রেনে, প্ল্যাটফর্মে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কালঘাম ছুটছে রেল প্রশাসনের। যাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। তা হলেই যাত্রীদের ভিড় এড়ানো যাবে। যদিও এ দিন পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইমে ৯৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে।
বর্ধমান হাওড়া মেন ও কর্ড শাখায় আপাতত প্রথম পর্যায়ে ৩৮টি লোকাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। এ দিন যাত্রী তারাপদ দে বলেন, ‘‘চলন্ত ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, কোভিড-বিধি মানা হচ্ছে না। যাত্রীরা গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই সিটে বসছেন। সিটের মাঝখানে ক্রশ চিহ্ন দেওয়া থাকলেও অধিকাংশ যাত্রী তা মানছেন না।’’ অন্য এক যাত্রী মহম্মদ সাবির আলি বলেন, ‘‘কম ট্রেন চললে তো যাত্রীদের ভিড় বাড়বেই। সবাই-ই তো ট্রেনে চাপতে চাইবেন। কাকে আটকাবে রেল!’’
গত কাল বেলা গড়াতেই যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে ট্রেনে। আর এ দিন গোটা বিষয়টি কার্যত বেআব্র্রু হয়ে গিয়েছে। হাওড়াগামী ট্রেন তো বটেই, যে লোকালই হাওড়া থেকে বর্ধমান স্টেশনে ঢুকছে তা থেকে হাজার হাজার যাত্রী নেমেছেন। ফলে ভিড় এড়ানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নিত্যযাত্রী সমিতির সদস্য তথা ব্যবসায়ী পল্লব দাস বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ালে কোন ভাবেই ভিড় এড়ানো সম্ভব নয়। কারণ লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে প্রায় আট মাস পর। এত দিন মানুষজন কার্যত ঘরবন্দি হয়ে ছিল। তারা এখন গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যাবেই। সুতরাং ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে যাত্রীদের ভিড় কমানো সম্ভব হবে। না হলে কোভিড-বিধি কোনও ভাবেই মানা সম্ভব নয়।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি বুঝে লোকাল ট্রেন বাড়ানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy