এক মৃত নেতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন সুকান্ত। নিজস্ব চিত্র
মোটরবাইক ও পেলোডারের সংঘর্ষে বাবলু সিংহ এবং মহেন্দ্র সিংহ নামে দু’জন বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়েছিল বারাবনিতে। মঙ্গলবার দুপুরে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বারাবনির দাসকেয়ারিতে ওই দুই নেতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সে সঙ্গে গোটা ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের ঘটনা নিয়েও সরব হন সুকান্ত। যদিও, তৃণমূলের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি।
বার্নপুরের দীনদয়াল উপাধ্যায় স্মারক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার শহরে এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান সংগঠনের সম্পাদক পবন সিংহ। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে দাসকেয়ারিতে যান। সুকান্তের দাবি, “আমাদের দু’জন নেতার মৃত্যু অত্যন্ত সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। কারণ, যে গাড়ির (পেলোডার) সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সেটির মালিক পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যের। তাঁরই পেট্রল পাম্প। ওই পেট্রল পাম্প থেকে গাড়িটি বেরিয়ে তাঁদের মেরেছে।” সুকান্ত দাবি করেন, এর আগেও বারাবনিতে সিপিএমের বিধায়ককে এ ভাবে দুর্ঘটনায় মারা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই সুকান্তের দাবি, “আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। ওঁরা সন্ত্রাসের কারণে বাড়িতেও থাকতে পারতেন না। তাঁরা রাতে আসানসোলে থাকতেন। সেখানেই ফিরছিলেন।” এ দিকে, সুকান্ত এলাকা ছাড়ার পরেই, মৃত বাবলুর বাবা নলীন সিংহ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ছাড়া ছিলেন তাঁর ছেলে। মিথ্যা মামলায় ১৪ দিন জেলও খাটতে হয়েছিল।
শক্তিগড়ে কয়লা কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝা খুনের ঘটনা প্রসঙ্গেও সুকান্ত দাবি করেন, “গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। কারণ, অনেকেই বলছেন, ওঁর কাছে না কি অনেক কাগজপত্র ছিল। সেগুলি না কি পাওয়া যাচ্ছে না। ওঁকে সম্প্রতি ইডি ডেকেছিল। ইডি-র কাছে গেলে ও মুখ খুললে অনেক রাঘববোয়ালের নাম বেরিয়ে পড়ত।” তাঁর সংযোজন: “পুলিশ কোনও সূত্র খুঁজে পাবে না। সূত্র নবান্নে আছে। নবান্ন না বললে পুলিশ কোনও সূত্র খুঁজে পাবে না।” যদিও, সুকান্তের এমন মন্তব্যগুলির প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “ওঁরা বুঝে গিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের সমর্থন পাবে না। তাই এলাকায় ঘুরে ঘুরে তৃণমূল সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy