বামুনিয়া পুকুর। —নিজস্ব চিত্র।
উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পুকুর ও লাগোয়া এলাকা দখলের অভিযোগ উঠেছে গুসকরা পুরসভার বিরুদ্ধে।
বামুনিয়া পুকুর নামে পরিচিত ওই পুকুরের মোট ২ একর ৯৭ শতক এলাকার মধ্যে এক একর ১২ শতকের মালিক বনবিহারী ঘোষের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও গুসকরা পুরসভা ওই পুকুর কেনেনি। এমনকী মৌখিত অনুমতিও নেয়নি। বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। বনবিহারীবাবুর দাবি, ১৪ নভেম্বর ওই পুকুর পাড়ে প্রায় ২০০ লোক জড়ো করে পুরসভার দুই ঠিকাদার মাটি খোঁড়ার যন্ত্র দিয়ে মাটি কোপাতে শুরু করে। বাধা দিতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হল বলেও অভিযোগ। তবে গুসকরার পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের দাবি, “আমাদের সঙ্গে ওই ভদ্রলোকের একটি চুক্তি হয়েছিল ২০১২ সালে। তার ভিত্তিতেই আমরা পুকুরটির সৌন্দর্যায়ন শুরু করেছি।”
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বনবিহারীবাবু জানিয়েছেন, বামুনিয়া পুকুরের প্রায় অর্ধেক তাঁর মালিকানাধীন। তবে ওই পুকুরের বাদবাদি অংশ অন্যান্য শরিকদের কাছ থেকে উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে কিনে নিয়েছে পুরসভা। তাই ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল তিনিও ওই পুকুর ও লাগোয়া পাড় সরকারি দরে কিনে নিতে আবেদন জানান পুরসভাকে। কিন্তু পুরসভা বিষয়টি নিয়ে লিজ চুক্তির চেয়ে বেশি এগোয়নি। উল্টে ১ অগস্ট স্থানীয় এক পাক্ষিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পুরসভা ওই পুকুর ও পুকুর পাড়ের সৌন্দর্য্যায়ন করার জন্য টেন্ডার ডাকে। তবে এ ব্যাপারে তাঁদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে বনবিহারীবাবুর দাবি। বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসকের কাছে ওই টেন্ডার বাতিলের জন্য আবেদনও করেন তিনি। বর্ধমানের মহকুমাশাসক (উত্তর) স্বপন কুণ্ডু অভিযোগ হাতে পেয়ে পুরসভাকে ঘটনাটির সুষ্ঠ ভাবে মীমাংসা করার নির্দেশ দেন। এমনকী হাইকোর্ট তাঁদের রিট-পিটিশন পেয়ে পুরসভাকে পুকুর ও পুকুর পাড়ের চরিত্র না বদলানোর নির্দেশ দেয় বলেও বনবিহারীবাবুর দাবি। এরপরে পুরসভার তরফে একটি বৈঠক করে আশ্বাস দেওয়া হয়, যতদিন না আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পুকুরের সৌন্দার্যায়ন করা হবে না। সরকারি ভাবে ওই জমির দর কত তাও জানাতে বলা হয়। বনবিহারীবাবুর দাবি, সমস্ত নথি জমা দেওয়ার পরেও গায়ের জোরে পুরসভা পুকুর ও পুকুর পাড় দখল করছে।
তবে বুর্ধেন্দুবাবু বলেন, “শহরের কেন্দ্রস্থল সাত নম্বর ওয়ার্ডের ওই পুকুরটির পাশ দিয়ে দুর্গন্ধে হাঁটাচলা করা যেত না। সরকারের কাছে আমরা ওই পুকুরের সৌন্দর্যায়নের জন্য টাকা চেয়েছিলাম। ২৩ লক্ষ টাকা এসেছে। তাই পুকুর পাড়ে কিছু ফুলগাছ লাগানো, বসার জায়গা গড়ার ব্যবস্থা করছি। তাই মাটি খোঁড়া চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy