হামলার শিকার মন্ত্রী সুব্রত সাহা। নিজস্ব চিত্র।
ফের মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনা মুর্শিদাবাদে। বুধবার বিকেলে বড়ঞায় আক্রান্ত হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং স্থানীয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। অভিযোগ। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন জানিয়েছেন, সুব্রতকে মারধরের পাশাপাশি দুই নেতার গাড়ি ঘিরে ইট ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। হামলার ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে বর্ধমানের নতুনহাট এলাকায় পথদুর্ঘটনায় বড়ঞা থানার সৈয়দপাড়া এলাকায় একই পরিবারের ছ’জনের মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার মুর্শিদাবাদেরই সাগরদিঘির বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং স্থানীয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ-সহ তৃণমূলের কয়েক জন নেতা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
অভিযোগ, ফিরে আসার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ফলে সুব্রত জখম হন বলে সূত্র মারফত জানতে পারে যাচ্ছে। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ এই ঘটনা/ সরাসরি বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ জর্জ এবং বড়ঞা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অবশ্য মন্ত্রী সুব্রত সরাসরি কাউকে দায়ী করেননি। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যে বাড়িতে ছ’জন মারা গিয়েছেন আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু সমাজবিরোধী হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু অন্ধকার থাকার কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা বুঝতে পারিনি।’’
সুব্রতের উপর হামলা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। পুলিশ, থানা, প্রশাসন, পাটি সকলে সব কিছু জানে। এমন গন্ডগোল আর যেন না হয়, সেটা দেখা দরকার। তৃণমূল দু’টি গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের দায়িত্ব। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সারা বাংলা জুড়ে আছে, তার ঝলক দেখতে পাচ্ছি।’’
এই হামলার ঘটনায় জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফের প্রকাশ্যে এল বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমা হামলার গুরুতর জখম হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন।
হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বড়ঞা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি ব্লক তৃণমূল সভাপতি জর্জ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়ঞা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, হামলার ঘটনায় আটকরাও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy