মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
আপনার বাগানে প্রশাসন কর্মসূচি কার্যত থমকে। একই অবস্থা আপনার পঞ্চায়েতে প্রশাসনেরও। এক বছর আগে বোর্ড গঠন হলেও অর্থের অভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদও কার্যত নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারের উন্নয়কে নিয়ে কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে শাসক দলের নেতাদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল।
চা বাগান অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার জেলায় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল। পঞ্চায়েতে সাফল্যের পর চা বাগানের উন্নয়নে জোর দেয় প্রশাসনও। শুরু হয় আপনার বাগানে প্রশাসন কর্মসূচি। বাগানে গিয়ে পরিেষবা দেওয়ার ওই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার ফলে আপনার পঞ্চায়েতে প্রশাসন নামেও একটি কর্মসূচি জেলায় চালু করা হয়। গত বছর অক্টোবর মাসে জলপাইগুড়ির চালসাতে শেষবার আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে শাসক তৃণমূলকে। অভিযোগ, তারপরই উন্নয়নমূলক কাজের গতিতে একটা ছন্দপতন ঘটেছে। ওই দুই কর্মসূচিই থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুজোর প্রায় দেড় মাসেরও আগে শেষবার আপনার বাগানে প্রশাসন কর্মসূচি হয়েছিল। যদিও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মীনা বলছেন, ‘‘এটা মিথ্যা অভিযোগ। আপনার বাগানে প্রশাসন বা আপনার পঞ্চায়েতে প্রশাসন কর্মসূচি নিয়মিত চলছে। এবং এ ধরনের কর্মসূচি থেকে সাধারণ মানুষ নানা সরকারি পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।’’
জেলা তৃণমূলের অনেক নেতার অভিযোগ, ‘‘শুধু এ ধরনের কর্মসূচিই নয়, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে দল ক্ষমতায় এলেও, এই সময়ে নতুন বোর্ড মাত্র পাঁচ কোটি টাকা পেয়েছে।’’ জেলা পরিষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই টাকায় একটা জেলার কোনও উন্নতি হতে পারে বলে জানি নেই। যদিও জেলার তৃণমূল নেতারা আশাবাদী, এ বারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলার উন্নতিতে বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘দেশের মধ্য একমাত্র আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই মানবিক। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যখনই কোন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে যান, সেখানেই উন্নয়নের বার্তা দেন। ফলে জেলার আরও উন্নয়ন হবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy