নিজস্ব চিত্র
অশান্ত আফগানিস্তানে বন্দি হয়ে রয়েছেন আত্মীয় পরিজন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবা, করা যাচ্ছে না ফোন কলও। এমন চলতে থাকলে ৩০ বছর পিছিয়ে যাবে দেশ বলছেন এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী আফগানদের বড় অংশ।
সেই কারণেই এই আফগান পরিবারগুলির রোজই আশঙ্কা বাড়ছে একটু একটু করে। কী অবস্থায় আছেন মা-বাবা-ভাইয়েরা? দেশে ফিরে কি আপনজনদের সঙ্গে দেখা হবে? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরছে প্রবাসী আফগানদের মনে।
ব্যবসায়িক কারণে ধূপগুড়িতে রয়েছে বেশ কয়েকটি কাবুলিওয়ালা পরিবার। পরিবারের এক, দু’জন সদস্য এই রাজ্যে রয়েছেন, বাকিরা রয়েছেন আফগানিস্তানে। তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না এ রাজ্যের কাবুলিওয়ালারা। তাই বাড়ছে উদ্বেগ। সারাদিন বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছেন যোগাযোগ করার। কিন্তু ফোন, ইন্টারনেট, কিছুই কাজ করছে না। সারাদিন শুধু টিভির পর্দায় বিভিন্নরকম খবর পাচ্ছেন, আর তাতেই আন্দাজ করতে হচ্ছে কেমন আছেন আত্মীয়রা।
বংশপরম্পরায় এ দেশে রয়েছে কয়েকটি পরিবার। তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও আছে। যেমন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লিচুতলা এলাকার দৌলত খান, মহম্মদ খান, গোলাপ খান-রা। মনে প্রাণে তাঁরা এখন পুরোটাই ভারতীয়। তবু শিকড়ের টান কাজ করে আজও। তাই জন্মভূমিকে অশান্ত হতে দেখে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। বলছেন, ‘‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কাউকেই পাচ্ছি না। আতঙ্কে কেউ কেউ ফোন করতেও চাইছেন না। আমরা চাই সে দেশে শান্তি ফিরুক। না হলে ৩০ বছর পিছিয়ে যাবে আফগানিস্তান।’’ দৌলত খান, গোলাপ খানদের মতো ৪০০ থেকে ৫০০ জন প্রবাসী আফগান রয়েছেন গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে।
একই অবস্থায় রয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের হিলবন্তি এলাকার আফগান বাসিন্দারা। তাঁরাও চিন্তিত পরিবার নিয়ে। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে আফগানিস্তান থেকে আসানসোলে এসেছিল এই আফগান পরিবার। কিন্তু মাঝে মাঝেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাঁদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যতবার সুযোগ পেয়েছেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে কপালে ভাঁজ পড়েছে বারবার।
১৫ অগস্ট কাবুল দখলের খবর আসার পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে কয়েকগুণ। তাঁরাও বারবার আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। টিভির খবরই ভরসা তাঁদেরও। তাঁরা বলছেন, ‘‘আমাদের প্রার্থনা, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক ভারত সরকার। আপনাদের মাধ্যমে ভারত সরকারকে আবেদন জানাই, আমাদের পরিবারের লোকেদের যেন নিরাপদে রাখা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy