ভবন: অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠছে সার্কিট বেঞ্চের ভবন। নিজস্ব চিত্র
উদ্বোধনের দিন সার্কিট বেঞ্চ ভবনের লিফ্টে কারা উঠবেন এবং দোতলা বা তিন তলায় যেতে সিঁড়ি ভাঙতে হবে কাদের তাও ঠিক হচ্ছে প্রোটোকল মেনে! সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে সেই প্রোটোকল। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তো রয়েইছেন, সঙ্গে প্রাক্তন তিন প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিরা থাকবেন। বিচারপতি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে ৬৫ জনের আসার কথা।
থাকবেন আইনমন্ত্রী সহ উত্তরবঙ্গের সব মন্ত্রীরা। কলকাতা থেকেও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর আসার কথা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি থেকে একাধিক পদস্থকর্তা। সব মিলিয়ে এই সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। সকলকেই ভিভিআইপি প্রোটোকল মেনে মর্যাদা দিতে হবে। সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তার দিকও। সব আয়োজন করতেই আপাতত দিন-রাত এক হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের। প্রশাসনের অন্দরে এখন একটাই প্রশ্ন, সব সুষ্ঠু ভাবে সামাল দেওয়া যাবে তো?
জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া এবং জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি সোমবার সকাল থেকে কয়েক দফায় বৈঠক সেরেছেন। ভিআইপিদের সিংহভাগই আগের দিন অর্থাৎ আগামী শুক্রবার শহরে পৌঁছবেন। দেড় দিন তাঁরা শহরে থাকবেন। যারা উদ্বোধনের দিনই পৌঁছবেন তাঁদেরও বিশ্রামের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তত একশো জন ভিআইপির থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান বিচারপতি সহ সিনিয়র কয়েকজন বিচারপতি উদ্বোধনের পরে বেঞ্চের কাজ পরিচালনার জন্য টানা কয়েক দিন থাকতে পারেন। প্রোটোকল ঠিকঠাক বজায় রাখার জন্য একাধিক অভিজ্ঞ আধিকারিক প্রয়োজন।
জলপাইগুড়ি জেলার সব ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ অন্য জেলার আধিকারিকদেরও আনা হচ্ছে। এত ভিভিআইপি কনভয়ের জন্য অন্তত দুশো এসইউভি গাড়ি প্রয়োজন। শিলিগুড়ি, বাগডোগড়া থেকে গাড়ি ভাড়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী কে কোথায় থাকবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুই দফতর থেকেই জানানো হয়েছে তাঁরা জলপাইগুড়ি শহরেই থাকবেন। সূত্রের খবর, দুজনের নিরাপত্তা কর্মীরাই সার্কিট হাউস বেছেছেন। প্রোটোকলে তা সম্ভব নয়। কি সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে প্রতিঘণ্টায় নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। সার্কিট হাউসের পাশেই জুবলি পার্কের বাংলোয় প্রধান বিচারপতি থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীকে পূর্ত দফতরের বাংলোয় রাখা হলে তাঁর পাশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে থাকবেন বিধানসভার স্পিকার এবং আইনমন্ত্রী। কিছুটা দূরে সেচ নিবাসে থাকবেন হাইকোর্টের সিনিয়র বিচারপতিরা। কয়েকজন ভিভিআইপিকে শহরের বাইরের অতিথিনিবাসগুলিতে রাখা হবে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “কোন দিক ছেড়ে কোন দিক সামাল দেব বুঝতে পারছি না। কোনও ক্ষেত্রেই পান থেকে চুন খসলেই শাস্তির খাঁড়া।”
থাকার ব্যবস্থা করতে হবে নিরাপত্তা কর্মীদেরও। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই ৮০ জনের নিরাপত্তাকর্মীদের দল আসবে।
সেই সঙ্গে অন্য ভিভিআইপিদের জন্য বাইরের জেলা থেকেও বাহিনী আনা হবে। তাঁদেরও রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। আপাতত স্থির হয়েছে, শহরের বিভিন্ন বাংলো এবং খোলা জায়গায় অস্থায়ী তাবুতে নিরাপত্তা কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হবে। শহরের ভাঙাচোরা রাস্তাও পিচ ঢেলে মেরামত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy