বিজেপি সাংসদ বিধায়কদের ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চা শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) ও গ্র্যাচুইটির সমস্যা না মিটলে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। রবিবার আলিপুরদুয়ারের দলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মিসভা থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতার আগাগোড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উত্তরবঙ্গের চা বাগানের দুরবস্থার জন্য দায়ী করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী তো নিজেকে চা-ওয়ালা বলে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন। আর যাঁরা চা বাগানে কাজ করেন তাঁদের জন্য কিছুই করলেন না। আসলে ওঁদেরই অচ্ছে দিন এসেছে। আপনাদের অচ্ছে দিন আসেনি। অচ্ছে দিন এসেছে জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক ও জয়ন্ত রায়দের।’’ এই তিন জন হলেন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ। একই সঙ্গে অভিযেকের অভিযোগ, ‘‘জন বার্লা চা বাগানে অট্টালিকা বানিয়েছেন। নিশীথ প্রামাণিক দিল্লিতে মার্বেল প্যালেস বানিয়েছেন।’’
আক্রমণের সুরে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি জানি আপনারা অনেকেই পিএফ এবং গ্র্যাচুইটি পান না। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে। আমাদের শ্রমিক সংগঠন আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে। অক্টোবর মাস পুজোর মাস। এই সময়টা বাদ দিয়ে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস জুড়ে পিএফ এবং গ্র্যাচুইটির জন্য জোরদার আন্দোলন করুন। আর যদি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনারা পিএফ আর গ্র্যাচুইটি না পান তাহলে সবাই মিলে গিয়ে জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক ও জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে আলিপুদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার নয় বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করুন। আমিও আসব সেই কর্মসূচিতে।’’ প্রত্যেকটি ঘেরাও কর্মসূচিতে ১৫ হাজার করে মানুষকে অংশগ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, চা বাগানেই শপিং মল তৈরি করিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন। আন্দোলন করে সেই শপিং মলটি গুঁড়িয়ে দেওয়ারও হুঙ্কার দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই কর্মসূচি শুধু উত্তরের হলেও আসলে রাজ্য বিজেপির উপরে সার্বিক ভাবে চাপ তৈরি করতে চাইছেন অভিষেক। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের চাপে রাখতেই এই কর্মসূচির ভাবনা।
বিজেপির চা বাগানের নেতা তথা পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা অভিষেকের এমন আক্রমণে পাল্টা সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘অভিষেকবাবু একেবারে বাচ্চা ছেলে। তিনি চা বাগান নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন শুনলাম। বলেছেন, শ্রমিকদের আইডেন্টিটি কার্ড বানিয়ে দেবেন। চা বাগান মালিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বলে তাঁদের গ্রেফতার করার কথা বলেছেন। চা বাগানের বেশির ভাগ মালিকই কলকাতায় থাকেন। অনেক তো আবার অভিষেকবাবুর বাড়ির কাছেই থাকেন। সাহস থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’’ আর বাড়ি ঘেরাও নিয়ে মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়কের জবাব, ‘‘আমাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের দিন পর্যন্ত উনি ঘোষণা করে দিয়েছেন। ওই দিন পর্যন্ত উনি জেলের বাইরে থাকবেন তো?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy