রকি দেবনাথ
সেই আমানতকারীদের চাপ। আর চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট। তালিকাটা লম্বা হচ্ছে।
এ বার ঘটনাস্থল নৈহাটি। বুধবার সকালে নৈহাটির ২ নম্বর বিজয়নগরের বাসিন্দা রকি দেবনাথের (২৯) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির শৌচালয় থেকে। তিনি বন্ধ হয়ে থাকা লগ্নিসংস্থা র্যামেল গ্রুপের এজেন্ট ছিলেন। ঘটনাচক্রে এ দিনই আর এক লগ্নিসংস্থা রোজভ্যালির বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালাল সিবিআই।
রকির পরিণতি নতুন কিছু নয়। সারদা-কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর থেকে এ রাজ্যে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে পরের পর লগ্নিসংস্থার। আর আমানকারীদের লাগাতার টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম পথ বেছে নিয়েছেন একের পর এক এজেন্ট। রবিবার রাতেই বাঁকুড়ায় রোজভ্যালি ও হিমাঙ্গিনী সংস্থার এক ২৪ বছরের এজেন্টের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর উপরে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমানতকারীদের চাপ ছিল বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রের খবর, দিন দু’য়েক আগে রকির ভাই জ্যাকি দাদাকে মোবাইলে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে শুনেছিলেন। জ্যাকির কথায়, “দাদা কাকে যেন বারবার বলছিল, আর একটু অপেক্ষা করতে পারছিস না! তোরা কি আমায় বাঁচতে দিবি না?” জ্যাকি জানান, দাদা ছিলেন চাপা স্বভাবের। কিন্তু চাপ যে বাড়ছিল, তা ক’দিন ধরেই মনে হচ্ছিল রকির চোখ-মুখ থেকে।
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকে ২ নম্বর বিজয়নগরের নতুনপল্লিতে মামার বাড়িতে থাকতেন রকি ও তাঁর ভাই। রকির মামি তনুশ্রী দেবনাথ বলেন, “আমরা গরিব। টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেই আশঙ্কায় মনে হয় ও এমনটা করল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy