কৌশিক কুণ্ডু।
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই একই পরিবারের তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাটিকে শুরুতে গুরুত্ব দিতে চায়নি বলে অভিযোগ তুলে সোমবার বাসন্তী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল জনতা।
সোমবার সকাল থেকে থানা ঘেরাও করা হয়। অবরোধ হয় বাসন্তী-ঝড়খালি রাস্তা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। ইটের টুকরো লেগে মাথা ফেটেছে ওসি কৌশিক কুণ্ডুর। বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে তাঁর মাথায় তিনটি সেলাই প়ড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আশপাশের থানা থেকেও বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। এফআইআর-এর বয়ান গ্রামবাসীদের পড়ে শোনান সিআই রতন চক্রবর্তী। জানানো হয়, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপরেই পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ দিন বেলা ১টা নাগাদ বাসন্তী থানায় আসেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে ওই নাবালিকার বাড়িতেও যান। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন বিজেপি নেত্রী।
যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন উত্তেজনা ছড়াল, সেটি গত শনিবারের। বাসন্তীর কুমিরমারি গ্রামের বছর ন’য়েকের এক নাবালিকা রাস্তার উল্টো দিকে শ্রীরামপুর গ্রামের আলতাব সর্দারের দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিল। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় হঠাৎই। মেয়েটি বাড়ি ফিরতে পারেনি। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আলতাব মেয়েটিকে নিজের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে।
ঝড়-বৃষ্টি থামার পরে মেয়েটির পরিবার খুঁজতে বেরোয়। আলতাবের বাড়িতে গেলে সে জানায়, মেয়েটি তার বাড়িতে আসেনি। কিন্তু ওই যুবকের কথায় সন্দেহ হয় গ্রামের লোকের। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
একটি পরিত্যক্ত ঘরে মেয়েটির দেহ পড়ে ছিল। নাবালিকার পরিবার ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, জানানো সত্ত্বেও পুলিশ শুরুতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে দেরি করেছে।
পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত আলতাবকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার বাবা ইউনুস সর্দার ও বৌদি মাবিয়া সর্দারকেও। আলতাবের মা পরিজান সর্দারের খোঁজ চলছে।
এসডিপিও সৌম্য রায়ের দাবি, ‘‘যাঁরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করছেন, তাঁরা ঠিক বলছেন না। আমরা অভিযুক্তদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছি এবং যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy