অপেক্ষা: সাহায্য নিতে লাইনে মহিলারা। ছবি: সামসুল হুদা
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রাথমিক পর্যায়ের কথাবার্তা শুরু হয়েছে। কোন পথে সমাধান সূত্র বেরোবে, তা এখনও অজানা। তবে গ্রামে উন্নয়নের কাজকর্ম শুরু করে প্রশাসনের তরফে সদর্থক বার্তা দেওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। আন্দোলনের মূল কেন্দ্র পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েত এলাকায় শনিবার হাঁস-মুরগি বিলি করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের উদ্যোগে এ দিন পঞ্চায়েতের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুরের মহকুমাশাসক দেবারতি সরকার, ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি প্রমুখ৷
পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের কাজ থমকে আছে বলে অভিযোগ উঠছিল। সরকারি নানা প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এ বার সরকারি নির্দেশেই সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের মাছিভাঙা, খামারাইট, টোনা, উড়িয়াপাড়া-সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
এ দিন পঞ্চায়েত এলাকার সাড়ে চারশোজনকে মুরগি ও দু’শোজনের হাতে হাঁস তুলে দেওয়া হয়। এ দিন যাঁরা হাঁস-মুরগি পেলেন না, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী সময়ে দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়েছে।
যে সব এলাকা থেকে উপভোক্তারা এ দিন এসেছিলেন, সে সব জায়গা এক সময়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘর’ বলে পরিচিতি পেয়েছিল। আন্দোলনকারীদের পক্ষে মির্জা হাসান বলেন, ‘‘আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ। আমরা সব সময়ে চেয়েছি, এলাকার উন্নয়ন হোক।’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘সরকারি সুযোগ-সুবিধা যাতে আবার হঠাৎ করে বন্ধ না হয়, সে দিকেও প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।’’
প্রশাসনের তরফে অবশ্য এই উদ্যোগকে ‘রুটিনমাফিক’ হিসাবেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ভাঙড় ২ বিডিও বলেন, ‘‘সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সারা বছরই এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy